ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরও ৬ মাস বাংলাদেশে থাকছে অ্যাকর্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
আরও ৬ মাস বাংলাদেশে থাকছে অ্যাকর্ড সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাকখাতে নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করতে আরও ৬ মাস কাজ করে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড।

বৃহস্পতিবার (১০ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অ্যাকর্ড দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করে করছে।

তাদের কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য বর্তমানে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার আরও ৬ মাস মেয়াদ বাড়িয়েছে।  এই ৬ মাসের মধ্য সরকারের আরসিসি (রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল) সক্ষমতা অর্জন করবে বলেও মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

বিগত ৫ বছর ধরে কাজ করে যাওয়া অ্যাকর্ডের মেয়াদ এ মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সংবাদ সম্মেলেনে অ্যাকর্ড স্টিয়ারিং কমিটির মোট ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জনই উপস্থিত ছিলেন।
 
অ্যাকর্ড স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অ্যাডওয়ার্ড ডেভিড সাউথহল বলেন, কারখানা সংস্কার কাজ তদারকি করতে বাংলাদেশ আরসিসি গঠন করেছে। এই সেল কারখানার মানোন্নয়নে যথাযথ কাজ করতে পারছে কিনা তা যাচাই করবে অ্যাকর্ড। এই যাচাইয়ের মেয়াদ হতে পারে ৬ মাস।
 
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমএই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। ক্রেতা জোট দুটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা মানোন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। তারা এই শিল্পের পরম বন্ধু। অ্যাকর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা।  ছবি: শাকিল আহমেদতিনি বলেন, আমরা জানতাম না কিভাবে অগ্নি-নিরাপত্তা দরজা, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হয়। এসব অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স থেকে শিখেছি। যদিও এতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তাকে এই ব্যয় করার অর্থ না থাকায় কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে অর্থ ব্যয় হলেও এখন সবুজ কারখানা নির্মাণে লিড সার্টিফাইড সনদ প্রাপ্ত ১০টি কারখানার সাতটির অবস্থানই বাংলাদেশে।  

‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবুজ কারখানা সনদ পাওয়া মোট ৬৭টি কারখানার মধ্যে ১৬টি প্লাটিনাম কারখানা। আরও ২৮০টি কারখানা সবুজ কারখানার সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ’
 
বিজিএমএই সভাপতি বলেন, চলতি মাসেই কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) আরসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে থাকায় তা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাকর্ডের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে ট্রানজিশনাল মনিটরিং কমিটি বা ট্রানজিশনাল অ্যাকর্ড নামে কাজ চলবে। সেখানে সরকার, ব্র্যান্ড, শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধি থাকবেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাকর্ড জানায়, ১ হাজার ৬২০টি কারখানা তারা পর্যরবেক্ষণ করেছে। এর ৮৫ শতাংশ কারখানাই তাদের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। এসব কারখানায় কাজ করছে প্রায় ২৪ লাখ শ্রমিক।
 
সংস্কার ব্যয়ের কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও পণ্যের দাম কেন বাড়ানো হচ্ছে না- প্রশ্নে মন্তব্য করেননি অ্যাকর্ড প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কারখানায় কর্মপরিবেশের মানোন্নয়ন করা।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮/আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।