ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় অসহায় ঠিকাদাররা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৮
খুলনায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় অসহায় ঠিকাদাররা ঠিকাদারদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

খুলনা: নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন খুলনায় ঠিকাদাররা। অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থামকে গেছে। অনেক কাজ প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।

শনিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ঠিকাদাররা।

খুলনার সর্বস্তরের ঠিকাদারদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেখ দাউদ হায়দার।

তিনি বলেন, অসাধু সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খুলনা অঞ্চলে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র গণপূর্ত বিভাগের অধিনে খুলনায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।  

এরমধ্যে ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা কারাগার নির্মাণ, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ, ২২ কোটি টাকায় পাইকগাছায় টিটিসি নির্মাণ, ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএসটিআইয়ের অফিস আধুনিকায়ন, শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, আবু নাসের ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।  

সুনির্দিষ্ট রেট চার্টের ভিত্তিতে ঠিকাদাররা এসব কাজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে ঠিকাদাররা অসহায় হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি উপকরণের মূল্য ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন ঠিকাদাররা।

ঠিকাদাররা জানান, গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেও বিভিন্ন গ্রেডের রডের বাজার মূল্য ছিলো ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, যা বর্তমানে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সিমেন্ট ছিলো ৩৩০ থেকে ৩৪৫ টাকা, বর্তমানে ৪৪০ থেকে ৪৭০ টাকা, প্রতি ঘনফুট পাথর ১২৫ টাকার পরিবর্তে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। একইভাবে ইটের দাম প্রতি হাজারে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বেড়েছে। ফলে ২০১৪ সালের রেটে কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদাররা হিমসিম খাচ্ছেন। যে কারণে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোর উদ্যোগ না নেওয়া হলে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঠিকাদাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এমআরএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।