ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মুগ্ধতা ছড়িয়ে সুশোভিত হয়ে উঠেছে পুষ্পমেলা

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮
মুগ্ধতা ছড়িয়ে সুশোভিত হয়ে উঠেছে পুষ্পমেলা পুষ্প মেলায় নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

রাজশাহী: ঋতুরাজ বসন্ত আসতে এখনও ঢের সময় বাকি। তাই বলে কি ফুল ফুটবে না? ফুটবে, রাজশাহীর মণিবাজারের মাঠে বসা ফুলের হাট অন্তত এমনটাই বলছে!

শেষ মাঘের শিশির সরিয়ে আড়মোড়া ভেঙে বাহারি ফুলগুলো স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে অবিরত। থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলগাছগুলো দোল খাচ্ছে হিম ছড়ানো অলস হাওয়ায়।

 

মধুর টানে তার ওপরে উড়ে এসে বসছে মৌমাছির দল। ফুল ফুলে চলছে তাদের নাচন। রঙিন ফুল, সবুজ পাতা আর মৌমাছির গুঞ্জনে তৈরি হয়েছে অপূর্ব এক বাতাবরণ। মণিবাজারে ছোট্ট পরিসরে আয়োজিত পুষ্পমেলার ভেতরের অবস্থা এটি।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে যেন ফুলপ্রেমীদের মিলন মেলা বসছে। দর্শনার্থীদের নয়ন জুড়াতে জেগে উঠেছে লাল টকটকে গোলাপ, জুঁই, বেলী, হাসনাহেনা, গাঁদাসহ হরেক রকমের ফুল। ফুলের সুগন্ধে তাই সুশোভিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ।

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদেরই ভিড় বেশি। তবে বিকেলে নবীন-প্রবীণে পুষ্পমেলা আরও অলঙ্কৃত হয়ে ওঠে বলে জানান আয়োজকরা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এ মেলা।

আয়োজক সংগঠন বৈকালী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দীন বাবু বাংলানিউজকে জানান, এবারের মেলায় শীতের মন রাঙানো প্রায় ৭০ রকমের ফুল রয়েছে। এর মধ্যে কেবল গোলাপেরই প্রায় আড়াইশ’ প্রজাতির গাছ মেলায় স্থান পেয়েছে।

পুষ্পমেলায় এ বছর স্টল রয়েছে ১৬টি। প্রত্যেক দোকানে নানান প্রজাতির গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়াসহ পাওয়া যাচ্ছে রঙ-বেরঙের ফুলের গাছ। টবে লাগানো এসব গাছের কোনোটিতে কেবলই কলি এসেছে। আবার কোনোটিতে ফুল ফুটে আছে।

রইস উদ্দীন বাবু বলেন, রাজশাহীর অন্যতম ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন বৈকালী সংঘ ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি বছর মণিবাজার চত্ত্বরে পুষ্প মেলার আয়োজন করে। এই পুষ্পমেলা তাই রাজশাহীর সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।  

মেলায় আসা রাজশাহী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফাতেমা বলেন, একসঙ্গে এতো ফুলের সমাহার মেলা ছাড়া আর দেখার উপাই নেই। তাই বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন। শখ করে একটি গোলাপের গাছও কিনেছেন। মেলায় এসে সবাই মিলে বেশ আনন্দ করছেন বলেও জানান এ শিক্ষার্থী।  

মেলার স্টল থাকা জিয়াসমিন নার্সারির কর্মী ফয়সাল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন থেকেই মেলায় ভিড় রয়েছে।  

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় শতশত ফুলপ্রেমীর আগমন ঘটে। তাদের পদচারণায় মেলা প্রতিদিনই জমজমাট থাকে। তাই বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে। মঙ্গলবার মেলা শেষে হবে। তবে বাকি দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করেন এই দোকানদার।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।