![]() বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ |
বাকৃবি (ময়মনসিংহ): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বর্তমানে দেশে গবাদি পশুপালন ও মাংস উৎপাদনের হার আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি গবেষকদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব হতে হবে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত রোমন্থক (গরু ও ভেড়া) প্রাণীর অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে প্রজনন সহায়ক প্রযুক্তি বিষয়ে সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগে স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদারকরণ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে হেকেপ প্রকল্পের অধীনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় উপ-প্রকল্পের আওতায় “ষাড় থেকে উচ্চমান সম্পন্ন সিমেন প্রক্রিয়াকরণ এবং গাভী ও ভেড়ীর ভ্রুণ উৎপাদন, হিমায়িতকরণ ও যথাক্রমে সাধারণ জাতের গাভী ও ভেড়ীতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদনে সফলতার কথা তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুছ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আইনুল হক।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রিয় মোহন দাস, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মির্জা আবুল হাশিম।
এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা জুয়েনা।
উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিম আহমাদ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এসআই