ঢাকা, রবিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ মে ২০২৪, ১৭ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় দরকার নীতিমালা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় দরকার নীতিমালা’ প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিশ্বায়নের প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য উন্নত দেশগুলোতেও প্রবল।
 
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এবারের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতা’।
 
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতার যোগসূত্র রয়েছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমরা কিভাবে অর্থনীতিকে বিশ্লেষণ করছি। অনেকে এ দু’টিকে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন’।

‘মুক্তবাজার অর্থনীতি কিভাবে চলবে? এটি কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবকিছু নির্ধারিত হবে, নাকি সেখানে আইনি কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন প্রয়োজন রয়েছে, সেটিও আমাদের ভাবতে হবে’।
 
স্পিকার বলেন, অর্থনীতিতে অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়েই অগ্রসর হন। এটিকে স্বার্থপরতা বলা উচিত নয়। আমরা অনেক সময় চাহিদা ও যোগানের যোগসূত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনের কাজ করতে পারি’।
 
‘দারিদ্র্য বিমোচন এবং বৈষম্য নিরসনের ক্ষেত্রে আরো কার্যকর নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, উন্নত দেশগুলোতেও অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রবল। এমনকি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও (এমডিজি) অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথাটি সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। তবে বর্তমান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসন একটি বড় বিষয় হিসেব গুরুত্ব পেয়েছে’।
 
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিশ্বায়নের প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করেই নীতি পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এক্ষেত্রে নারী সমাজকে অর্থনীতির মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
 
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে রাজনীতিতে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন নিরসন করতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনা দরকার’।
 
‘রাজনীতিতেও অসমতা রয়েছে। এখন যাদের হাতে টাকা আছে, তারাই নেতা হচ্ছেন। কিন্তু এই রাজনীতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ করেননি। রাজনীতিতেও অর্থনৈতিক নৈতিকতার বিষয়টি ভাবতে হবে’।
 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে তিনজনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন- অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব হোসেন (মরণোত্তর), অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান ও অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।