ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাঁচামরিচের গায়ে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৭
কাঁচামরিচের গায়ে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগে! কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন এক ব্যবসায়ী। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ‘এতোদিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে জ্বলছিলো আগুন। এখন নতুন করে ‘ঘি’ ঢেলে কাঁচামরিচের দামে লেগেছে আগুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির গায়ে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগছে’।

সপ্তাহ ব্যবধানে খুলনায় কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কথা বলেন গ্লোবাল লিফটের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরুল কবীর বাবুল।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে বাংলানিউজের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে মোটা কাঁচামরিচ (পান বরজের মরিচ) ছিলো ১৬০ টাকা। তা আজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বর্তমানে বৃষ্টি বা বৈরী আবহাওয়া কিছুই নেই, তারপরও কেন কয়েকদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম, তা বুঝতে পারছি না।

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা ক্রেতারা বেশি দামে কিনলেও কৃষকরা ন্যায্য দাম পান না। তাদের উপার্জন মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে চলে যাচ্ছে।

কাঁচামরিচের দাম বেশি হওয়ায় আক্ষেপ করে শিউলী নামের এক গৃহিণী বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম সবচেয়ে বেশি। তারপরও কিনতে হচ্ছে।

তিনি জানান, খুলনাঞ্চলের বরজের মোটা কাঁচামরিচ ঢাকার এক আত্মীয় চেয়েছেন। যে কারণে ২০০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। তবে চিকন কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৮০ টাকা। বিক্রিতে ব্যস্ত কাঁচামাল ব্যবসায়ী।  ছবি: বাংলানিউজবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমের দিকে যাচ্ছে। কেজি প্রতি ফুলকপি ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা, পুরান আলু ১৫ টাকা, নতুন আলু ৪৫ টাকা, পেঁয়াজের কালি ১১০ টাকা, ওলকপি ৪০, খুশি-ঝিঙে ৫০ টাকা, লালশাক ৪০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা, আমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।   

কাঁচামরিচের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে খুচরা বিক্রেতা শামীম বলেন, পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়েছে। যে কারণে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।

তিনি জানান, বরজের কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে ছিলো ১৬০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। চিকন কাঁচামরিচ ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৮০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতা হালিম বলেন, পাইকারি দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ছে না কমছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১০ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম একই রকম।

পেঁয়াজের দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা মো. বাদল বলেন, ভারতে দাম বেশি বলে এদেশেও দাম বেশি। আমদানিকৃত পেঁয়াজ এখনও আসেনি। নতুন পেঁয়াজ উঠলে ও আমদানি করা পেঁয়াজ এলে দাম কমে যাবে।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad