ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির ডিজিটাল সেবা এ মাস থেকেই

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির ডিজিটাল সেবা এ মাস থেকেই

ঢাকা: এ মাসেই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোর (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো-সিআইবি) ডিজিটাল সেবা। আগামী ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে।

এরইমধ্যে এর কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সঙ্গে সুবিধা গ্রহীতা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ইন্টারনেটে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে গেছে।

২০০৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইবির অনলাইন প্রকল্পের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম শুরু করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সেবা চলছে ১৯৯২ সাল থেকে।  

বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিআইবির ডিজিটাল কার্যক্রমের ফলে এখন আর কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একজন গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ, গ্রহণ ও খেলাপি কিনা এসব তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হবে না। অনলাইনে মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাবে গ্রাহকের ঋণ তথ্য।

সিআইবি ডিজিটাল হওয়ায় গ্রাহকদের হয়রানি যেমন কমবে, তেমনি ঋণের তথ্য পেতে তাদের আর সময় নিতে হবে না। আগে ব্যাংকগুলোকে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হতো।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকের ঋণের তথ্য এই ডিজিটাল সেবার আওতায় প্রতি মাসেই আপডেট করবে। যাতে একজন গ্রাহক ঋণ খেলাপি কিনা অথবা অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যাবে।  

জানা গেছে, সিআইবি এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে এই অনলাইন সংযোগ স্থাপিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এএইচএম কায়-খসরু বাংলানিউজকে বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সবদেশে সিআইবি অনলাইন নির্ভর। আমাদের দেশে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইবি সেবা শুরু করে। তার আগে ব্যাংকগুলো নিজেরা তথ্যের আদান প্রদান করতো। ’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো ধরনের বড় ঋণ অনুমোদনের আগে শাখা থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানতে চাওয়া হয় প্রধান কার্যালয়ে। এরপর প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য জানতে চায়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ম্যানুয়ালি এসব তথ্য দিয়ে থাকে। আবেদনের ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে এসব তথ্য দেওয়া হতো। তবে এখন আর সে সময় লাগবে না। ’

জানা যায়, সিআইবির অনলাইন সেবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্ভার সাইট তৈরি করেছে। আবার যে কোনো ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে সেবা অব্যাহত রাখতে মিরপুরে আরেকটি ব্যাকআপ সার্ভার থাকছে।

সূত্র জানায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ইউজার আইডি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। যাতে থাকবে নিদিষ্ট পাসওয়ার্ড। শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদিত তিন ব্যক্তি এই সার্ভারে ঢুকতে পারবেন। তবে একটি নিদিষ্ট মেয়াদ পর পাসওয়ার্ড  পরিবর্তন করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প শুরুর পর ২০১০ সালে এর সফটওয়্যার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তারপর ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এএইচএম কায়-খসরু বলেন, ‘গ্রাহকের তথ্য প্রতিমাসেই হালনাগাদ করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।