ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কুয়েতের ইসলামি এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী আল নোমাসকে ইসলামী ব্যাংকের সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১
কুয়েতের ইসলামি এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী আল নোমাসকে ইসলামী ব্যাংকের সংবর্ধনা

ঢাকা: কুয়েতের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী মোহাম্মদ আব্বাস আল নোমাস বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে তাকে সংবর্ধনা দেয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।



অনুষ্ঠানে কুয়েত আওকাফ্ এবং ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী মোহাম্মদ আব্বাস আল নোমাস ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কুয়েত আওকাফ ও ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মন্ত্রী আহমদ সাদ আজ জাসের,  সেক্রেটারি জেনারেল ড. আবদুল মুহসিন আবদুল¬াহ আল খোরাফি, বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলী আহমাদ ইব্রাহিম আল দাফিরি, কুয়েত আওকাফ ও ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল¬াহ আল জালাহমা, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর জেনারেল ড. সুলাইমান সামসুদ্দিন, আহমদ মোহাম্মদ আল আজিমী, আহমদ রাসেদ আল কারাউই, তাহমের আল সাতলান ও আবদুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আব্বাস আল নোমাস বলেন, ‘কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। কুয়েত বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় এবং এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতাও অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কল্যাণমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করে এ ব্যাংকের আরো সাফল্য কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাংকের সাফল্য ও অগ্রতির দিকে মুসলিম উম্মাহ দৃষ্টি রাখছে। এ ব্যাংক আজ একটি রেফারেন্স ব্যাংক ও মডেল ব্যাংক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। ’

অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিঢ় সম্পর্ক। কুয়েত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে এবং বর্তমানেও তাদের সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রয়েছে। কুয়েতে বর্তমানে এদেশের প্রায় ৫ লাখ কর্মী কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ দেশের মোট রেমিটেন্সের প্রায় ১০% কুয়েত থেকেই আসছে। ’

তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠায় কুয়েত সরকারের ছিল আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা। কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, দি পাবলিক ইনস্টিটিউশন ফর স্যোসাল সিকিউরিটি, কুয়েত আওকাফ পাবলিক ফাউন্ডেশন, পাবলিক অথরিটি ফর মাইনর অ্যাফেয়ার্স এ ব্যাংকের স্পন্সর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ব্যাংক আজ দেশের শীর্ষ ব্যাংকের মর্যাদায় আসীন। ’


বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।