ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটের তৈরি চেয়ার-টেবিল, ঢেউটিন ও হেলমেট!

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
পাটের তৈরি চেয়ার-টেবিল, ঢেউটিন ও হেলমেট! ছবি: রানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা থেকে: সুন্দরি গাছের পাতা, গেওয়া কাঠ, ঘাস ও বাঁশই শুধু কাগজ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রযুক্তির কল্যাণে পাট দিয়েও তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নোটবুক, পাঠ্য বই, বইয়ের মলাট ও অ্যালবাম।


 
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) বিশাল প্যাভিলিয়নের ভেতর ‘প্রকৃতি’ নামের স্টলে পাটের এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
 
স্টলটিতে পাটের তৈরি ৫০ পাতার একটি নোটবুক বিক্রি হচ্ছে ২৭৮ টাকায়। এছাড়াও রয়েছে, পাটের তৈরি ফটোফ্রেম, সাদা পেপার, র‌্যাপিং পেপার, বাটিসহ আরও পাটের তৈরি আরও বেশকিছু পণ্য।
 
প্রকৃতি স্টলের বিক্রেতা জুঁই মিত্র বাংলানিউজকে বলেন,পাটের তৈরি বই, নোটবুক, খাতা, মলাটসহ অন্যান্য পণ্য ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করছেন। এসব পণ্য পরিবেশবান্ধব ও ইউনিক হওয়ায় তরুণদের আগ্রহ বেশি। পরিচিতি পাওয়ার জন্য সবার মাঝে সুলভ মূল্যে বিক্রি করছি এসব পরিবেশবান্ধব পাটপণ্য। ’
 
পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে বিশাল প্যাভিলিয়নের ২৫টি স্টল জুড়েই পাটপণ্যের সমাহার। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) স্টলে দেখা গেল পাটের তৈরি চোখ জোড়ানো কিছু পণ্য। অনেকে হয়তো অবাক হবেন পাটের তৈরি ঢেউটিন, হেলমেট, চেয়ার, টেবিল ও খেলনা দেখে। নারায়ণগঞ্জের তারাবোয় জুট-ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রির উৎপাদিত এসব পণ্য মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। পাটের তৈরি এসব পণ্য দেখে আনন্দিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
 
পাট ও প্লাস্টিকের সমন্বয়ে এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে। পাট-প্লাস্টিকের তৈরি প্রতি বর্গফুট ঢেউটিনের দাম ১৯৫ টাকা এবং আর্মি হেলমেট ১ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাট ও প্লাস্টিকের তৈরি চেয়ার ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, টেবিল বিক্রি ৮ হাজার ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
 
বিজেএমসির স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, পাটের তৈরি বিভিন্ন ব্যাগ ছাড়াও মানিব্যাগ, খেলনা, কার্পেট, বেড কভার, জুতা, ঝুড়ি, আসবাব ও দরজা-জানালার পর্দা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাটের তৈরি ল্যাপটপ ব্যাগ, জুতাও পাওয়া যাচ্ছে। জ‍ুটেক্সকো স্টলে গিয়ে দেখা গেছে পাটের তৈরি মানিব্যাগ, ঘরের শোভা বর্ধনকারী বিভিন্ন পণ্য।
 
পাটের তৈরি কম্বল, সোয়েটার, জামা, ফতুয়া, লুঙ্গি, শো-পিস, শপিং ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ, পর্দাসহ নানা ধরনের বাহারি পণ্য ক্রেতাদের মন জয় করছে।
 
বিজিএমসি’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) নুরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশকে সোনালি আঁশের দেশ বলা হয়। আমাদের দেশের সোনালি আঁশ অর্থাৎ পাটের মান অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত। পাট থেকে একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করা যেতে পারে অন্যদিকে বিভিন্ন শৌখিন পণ্যও তৈরি করা যেতে পারে। পাটের সোনালি অতীত ফিরে পেতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। দেশবাসীকে বলবো আপানারা পাটজাত পণ্য ব্যবহার করুন দেশের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সরকারকে সহায়তা করুন।
 
তিনি আরও বলেন, পাটের তৈরি ঢেউটিন, হেলমেট, চেয়ার ও টেবিল একদিকে যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে তেমনি অধিক রোদে সহজে তপ্ত হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এমআইএস/এমজেএফ/

** টয়োটা ক্যামরি গাড়িতে ১০ লাখ টাকা ছাড়
** লিগ্যাসি ফার্নিচার কিনলেই নিউইয়র্ক, ব্যাংকক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।