ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সোনামসজিদ বন্দরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
সোনামসজিদ বন্দরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ বন্দরের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) কাস্টমস্ ও সিএ্যান্ডএফ কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।

 

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাথর, কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য আমদানির ক্ষেত্রে অহেতুক হয়রানি বন্ধের দাবিতে সহকারী কমিশনারের (কাস্টমস) সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে অপমান, কটূক্তি ও হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করে সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ অবৈধ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় অসাধু সিএ্যান্ডএফ এজেন্টরা এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছিল সহকারী কমিশনার (কাস্টম) মোহা. ফকরুল আমিন চৌধুরী।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমদানিকৃত পাথর, বিভিন্ন ধরনের ফল ও অন্যান্য কাঁচামালের ক্ষেত্রে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে গেলে তারা এ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। তবে সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাদের মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী ফলপ্রসু আলোচনার পর এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্দরে সকাল থেকে প্রবেশকৃত ভারতীয় ট্রাকের পণ্য খালাশ শুরু হয়েছে।

বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিমিটেডের অপারেশন অফিসার মইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার ফলবাহী একটি ট্রাকসহ কাঁচামালের ৪৩টি এবং বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২০টি পেঁয়াজের ট্রাকসহ পাথর ও ছাইয়ের দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। যেগুলো খালাসের কাজ শুরু হয়েছে।

কর্মবিরতি প্রসঙ্গে সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহা. সফিউল আলম টানু বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকালে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর- রশিদ সহ কয়েকজন সদস্য ভারত থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যের ওপর অতিরিক্ত কর আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের হযরানি বন্ধের জন্য কাস্টমস্ অফিসে আলাপ করতে গেলে সহকারী কমিশনার (কাস্টমস) মোহা. ফকরুল আমিন চৌধুরী তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এবং কটূক্তি ও অপমান করে অফিস থেকে বের করে দেন।

একই কারণে মঙ্গলবার বিকেলে আবারও তারা সহকারী কমিশনার ফকরুল আমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সমস্ত সিএ্যান্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে অ্যাসোসিয়েশনের হলরুমে সিএ্যান্ডএফ সদস্যরা জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সন্ধ্যায় সমস্যার সমাধান ও অপমানের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দেন। যা কাস্টমস্ কতৃপর্ক্ষের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে বুধবার বিকেল ৪টায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।  

একটি সূত্র জানায়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে শতভাগ রাজস্ব আদায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে না পেরে এ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল।

সূত্রটি আরও জানায়, বন্দরে কড়াকড়ি আরোপের জেরে অন্যান্য দিন এ বন্দরে ফলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে প্রবেশ করলেও মঙ্গল ও বুধবারে ফলবাহী মাত্র একটি ট্রাক ভারত থেকে প্রবেশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
আরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।