ঢাকা: দেশে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যাপক প্রসার হলেও সে তুলনায় দারিদ্র্য বিমোচনের হার খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২০০৮ সালে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ছিল তিন কোটি। প্রায় ১৫ কোটি লোক পরোক্ষভাবে এ ঋণের সুবিধাভোগী। কিন্তু এরপরও দারিদ্র্য বিমোচনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দরিদ্র। ’
নিম্ন মানের শিক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণেই দেশের উন্নয়ন থেমে আছে বলেও মন্তব্য করেন আবুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাক্ষরতার হার বাড়ানো, মান সম্পন্ন শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন অত্যাবশক। ’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘সিটি ুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০০৯’- এর উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. হুমায়রা ইসলাম ও বাংলাদেশের সিটি কান্ট্রি অফিসার মামুন রশীদ।
চারটি বিভাগে সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে সাতক্ষীরার শেফালী রাণী রায়, শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জয়পুরহাটের রেহানা বেগম, কৃষি খাতে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পাবনার নুরুন্নাহার বেগম ও গাইবান্ধার ‘সমাজ কল্যাণ সংস্থা’কে দেওয়া হয়েছে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ বিরাট ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে তা বেকারদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। তবে দুর্বল আইনগত কাঠামোর কারণে এসব ক্ষুদ্র ঋণের ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি। ’
দেশে ুদ্রঋণ কার্যক্রমের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে তিন কোটি লোক ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছে। বর্তমানে এ খাতে তহবিলের পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর অর্ধেকই হচ্ছে সদস্যদের চাঁদা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১০