ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে অর্জিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা পুনরায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে দেশের শীর্যস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই।
এ লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে দ্রুত বৈঠক করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টায় মতিঝিলস্থ এসবিসিসিআই সভাকক্ষে আয়োজিত ‘দেশের বর্তমান ব্যাংকের সুদ, তারল্য সংকট এবং পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায়।
সংগঠনের সভাপতি একে আজাদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্যক্তব পাঠ করেন।
এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, গোলাম মোস্তাফা তালুকদার, হেলাল উদ্দিন, নজিবুর রহমান ও শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই মেয়াদি শিল্প ও চলতি মূলধন ঋণসহ শিল্পখাতে সকল ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার প্রাক্কলিত কস্ট অব ফান্ড প্লাস ৩ শতাংশের (১৩ শতাংশ) মধ্যে নির্ধারণ, টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা, অর্থঋণ আদালত আইন সংস্কারসহ সরকারের কাছে ৬টি প্রস্তাব করেছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘সরকার গত ৯ মার্চ থেকে ব্যাংক সুদের সর্বোচ্চ সীমা ১৩ শতাংশ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর ব্যাংকগুলো ১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ বৃদ্ধি করে। এই কারণে এফবিসিসিআই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারকে ব্যাংকের সুদের হার কমানোর জন্য দাবি করে। কিন্ত এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই প্রভাবে ব্যাবসা-বাণিজ্য ও শিল্পে বিনিয়োগ প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ’
আজাদ বলেন, ‘গত এপ্রিল পর্যন্ত শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ১০.৬৭ শতাংশ এবং খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪.৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পল্লী অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির সাধারণ সূচক ১১.৪৯ শতাংশ এবং খাদ্যে মূল্যস্ফীতির পরিমান ১৫.৩৮ শতাংশ। ’
মূল্যস্ফীতির এ অবস্থার জন্য মুদ্রামান হ্রাস ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি, তারল্য সংকট ও উচ্চ মূল্য আমদানি অন্যতম কারণ বলে এফবিসিসিআই জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১