ঢাকা: রমজানে চাল,ডাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীর পণ্যের দাম বাড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল করতে রসকারের কাছে সুপারিশ করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
রোববার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ এ কথা বলেন।
এসময় তিনি রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এফবিসিসিআই’র প থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই পরিচালক এস এম নূরুল হক, মমতাজ উদ্দিন, মনোয়ারা হাকিম আলী, গোলাম মোস্তফা, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রমজানে চিনির দাম মিল পর্যায়ে ৪৩ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৭ টাকার বেশী হবে না বলে এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ভোজ্য তেল, চাল, পেঁয়াজের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখারও ঘোষণা দেন।
এ.কে আজাদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে আমিসহ অন্য নেতারা এরই মধ্যে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, মিল মালিক, চিনি সমিতি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য মিল মালিক থেকে খুচরা বাজার পর্যায়ের প্রতিটি স্তরে ক্যাশ মেমো চালু করা হবে। তবে তা চালু করতে সময় লাগবে।
১০ জন ব্যবসায়ী মজুদ করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে বলে পত্রিকায় যে খবর এসেছে তাকে ভিত্তিহীন হিসেবে দাবি করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, যাদের নাম পত্রিকায় এসেছে তাদের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ রকম কেউ প্রমাণ করতে পারলে তারা সরকারের যে কোন শাস্তি মেনে নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১০