ঢাকা: শেয়ারবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের ঋণসীমা বর্তমান পাঁচ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করেছে সিকিউরিটিজ অ্যন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণ সমন্বয়ের সীমা ৩১ আগস্ট থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারন করা হয়েছে।
রোববার এসইসি’র বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঋণ সুবিধার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারন করার প্রথম দিন রোববার পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় এসইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী পরিচালক এসইসি’র ও কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ারুল কবির ভুইয়া বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্যই ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণ সুবিধা সমান করা হয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে যারা ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে তাদের ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ আগষ্টের পরিবর্তে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ওই ঋণ সমন্বয় করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাজারের লাগাম টেনে ধরতে এসইসি মার্জিন লোনের (শেয়ারের বিপরীতে ঋণ) ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে। ওই সীমা অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং ব্রোকারেজ হাউজ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
একইসঙ্গে কমিশন এরইমধ্যে যারা ওই পরিমান টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন তাদেরকে ৩১ আগস্টের মধ্যে তা সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়।
এসইসিও ওই সিদ্ধান্ত আজ ২৫ জুলাই রোববার থেকে কার্যকর হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রথমদিনই বাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউজের মার্জিন লোন সুবিধা ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়। সে সঙ্গে ঋণ সমস্বয়ের মেয়াদও এক মাস বাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১০