ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘দাদা সাভার’-এর ৪শ’ ২৮ শ্রমিককে অব্যাহতি

জাহিদুর রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০
কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘দাদা সাভার’-এর ৪শ’ ২৮ শ্রমিককে অব্যাহতি

সাভার: ঢাকা রপ্তানীপ্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে কোরিয়ার অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘দাদা সাভার’ পোশাক কারখানার ৪ শ’ ২৮ জন শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানা সংশ্লিষ্টরা।


সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে র‌্যাব পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।


এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৪শ’ ২৮ জন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন যাদের ৪শ’ ১২ জনই নারী।
১৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে ঢাকা রপ্তানীপ্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্নে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে এ কারখানাটি। চার হাজার শ্রমিক নিয়ে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা আর বিশ্বমন্দার প্রভাবে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনে কর্মী সংখ্যা।


দাদা সাভার লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার এমএম মাসুদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, একদিকে রপ্তানী আদেশ কমে যাওয়া অন্যদিক শতভাগ কমপ্লায়েন্স কারখানা হিসেবে শ্রমিকদের গড় বেতন ১২০ ডলার দিয়ে আমরা আর পেরে উঠছিলাম না, ক্রমাগত লোকশান চলতে থাকায় শেষে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।


বেপজা শ্রমিক-কর্মচারী বিধিমালার ১ ও ২ ধারা অনুসারে টার্মিনেট করা শ্রমিকদের জন্যে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


ঢাকা রপ্তানীপ্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আশরাফুল কবির কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, প্রচলিত নিয়মে শ্রমিকদের নায্য পাওনা পরিশোধ করেই কারখানাটি বন্ধ করা হচ্ছে।


আশুলিয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, কারখানার শ্রমিকদের টার্মিনেট করার পূর্বে নিরাপত্তা চেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় চিঠি দিয়েছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সেখানে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি।


এদিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া একাধিক নারী শ্রমিক বলেছেন, কারখানা বন্ধের ঘোষণায় তাদের  ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, চারমাসের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা দেয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ের পর তা শেষ হয়ে যাবে। ওই সময়ের মধ্যে নতুন কাজ বা উপার্জনের পথ না জুটলে কী হবে- এ শংকায় তাদের কাটছে প্রতিটি ক্ষণ!


বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০




বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।