ঢাকা: দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্স ঢাকা-দামাম-ঢাকা, ঢাকা-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-দোহা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু করতে নিজেদের বহরে আরো একটি বোয়িং ৭৬৭ এয়ারক্রাফট যুক্ত করতে যাচ্ছে।
নতুন এই এয়ারক্রাফটটিসহ জিএমজি’র বহরে এখন বোয়িং ৭৬৭ এর সংখ্যা দাঁড়াবে তিন এ।
তৃতীয় এ বোয়িং ৭৬৭ লিজের ব্যপারে শীর্ষস্থানীয় এয়ারক্রাফট লিজিং প্রতিষ্ঠান এডব্লিউআইএস’র সঙ্গে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুলাই মাসে এয়ারক্রাফটটি জিএমজির এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হবে। পূর্বের দুটি বোয়িং ৭৬৭ সহ জিএমজি এয়ারলাইন্সে এয়ারক্রাফটের সংখ্যা বর্তমানে আট। নতুন এ এয়ারক্রাফটটি যুক্ত হলে এ সংখ্যা ৯ এ উন্নীত হবে।
জিএমজি এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাহাব সাত্তার বলেন, নতুন এই এয়ারক্রাফটটি যুক্ত করার মাধ্যমে ঢাকা-দামাম-ঢাকা এবং ঢাকা-দোহা-ঢাকা রুটে ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এটি আমাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনারই অংশ।
জিএমজি’র বিমান বহর বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এয়ারলাইন্সে পরিনত হওয়াই জিএমজি এয়ারলাইন্সের লক্ষ্য।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়ী গোষ্ঠি বেক্সিমকোর মালিকানাধীন জিএমজি এয়ারলাইন্স ১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ২০০৪ সালের ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয় জিএমজি’র।
জিএমজি এয়ারলাইন্স বর্তমানে ৯টি আন্তর্জাতিক এবং ৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে সপ্তাহে ২৩০ টির ও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আন্তর্জাতিক রুটে কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, কাঠমান্ডু, কলকাতা, করাচি, দুবাই, আবুধাবি, দামাম, দোহা, জেদ্দা ও রিয়াদ এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট এবং যশোরে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে জিএমজি।
জিএমজি এয়ারলাইন্স বর্তমানে তিনটি কানাডিয়ান বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ এয়ারক্রাফট দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও কলকাতা রুটে এবং দু’টি বোয়িং ৭৬৭-৩০০ ইআর এবং তিনটি ম্যাকডোনাল ডগলাস এয়ারক্রাফট দিয়ে আঞ্চলিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১১