ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য: গোলকধাঁধায় ক্রেতা-বিক্রেতা

মসিউর আহমেদ মাসুম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১০
সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য: গোলকধাঁধায় ক্রেতা-বিক্রেতা

ঢাকা: কেউ কেউ সরকার নির্ধারিত দামেই সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তবে বেশিরভাগই তা মানছেন না।

এদের যুক্তি, কোম্পানি থেকে কোনও ঘোষণা না আসায় তারা আগের দামই রাখছেন। ফলে ক্রেতারা বেশি দামেই তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সরকার মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় খোলা সয়াবিন ৮৬ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ যোগ করে দাম নির্ধারণ করে দেয়।

তবে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সয়াবিন কেনা বেচার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই পড়েন গোলক ধাঁধায়।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের নিউ অনন্যা স্টোরের বিক্রেতা মো. রাসেলের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তিনি রূপচাঁদা সয়াবিনের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি করছেন ৫৪০ টাকায়। অথচ বোতলের গায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য ৪৯৪ টাকা লেখা রয়েছে।

দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বোতলজাত তেলের মূল্য সর্বশেষ বাড়ানোর আগেই কোম্পানি থেকে বলা হয়েছিল মূল্য বাড়বে। তখন ৪৯৪ টাকা মূল্য লেখা বোতলগুলো স্টক (মজুত) করে রেখেছিলাম। ’

কোম্পানিগুলো আগাম তেলের দাম বাড়ানোর খবর জানিয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পরে দাম বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল বলেও জানালেন কোনও কোনও দোকানি।

একই বাজারের চন্দ্রিমা ট্রেডার্সের বিক্রেতা মো. আলমগীর জানান, তিনি আছেন কেজি আর লিটার সমস্যায়।

তিনি বলেন, ‘ক্রেতারা খোলা তেল নেয় কেজিতে। সরকার নির্ধারণ করেছে লিটারে। কেজিতে তেলের পরিমাণ লিটারের চেয়ে বেশি। কিন্তু কেজিতে দাম বেশি চাইলেই ক্রেতারা সরকারের মূল্য নির্ধারণের কথা বলে ঝগড়া লাগিয়ে দেন। ’

তবে তিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ৮৬ টাকা এবং কেজিপ্রতি ৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান।

একই বাজারের হারুন স্টোরের নূরুল ইসলাম জানান, কোম্পানি থেকে তেলের দাম বিষয়ে কোনও ঘোষণা না এলেও তিনি সরকার নির্ধারিত নতুন মূল্যেই বিক্রি করছেন।

নিউমার্কেটের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানালেন, তিনি আগের মূল্যেই তেল বিক্রি করছেন। কারণ কোম্পানি থেকে কোনও ঘোষণা না আসায় বেশি মূল্যে কেনা তেলের ক্ষেত্রে বেশিটাই রাখছেন।

এদিকে, তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন কাঁঠালবাগানের এক বিক্রেতা।

তার তীর্যক মন্তব্য, ‘তেল নিয়ে যে কী হচ্ছে কিছু বুঝতেছি না। ’

তিনি বলেন, ‘নতুন তেল বাজারে না আসায় আমাদের আগের তেল কেনা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ’

তিনি অভিযোগ করেন, ক্রেতারা নতুন নির্ধারিত মূল্যের কথা বললেও কোম্পানি ও তেলের মিলে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলতে চায় না। তাই তেল বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছি। ’

নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা ঢাকা কলেজের ছাত্র মারুফ জানালেন, বিক্রেতারা তার কাছ থেকে তেলের আগের দামই রেখেছেন।

হাতিরপুল বাজারে ফারাহ জাহানও একই অভিযোগ করলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।