চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে তিনটি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন বর্জনকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ‘চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী পরিষদ’। আদালত অবমাননা, নির্বাচন বাতিল এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ণের আদেশ চেয়ে এ তিনটি মামলা করা হবে বলে জানান ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসকাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নেতারা এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন নিয়ে দ্রুত তিনটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ব্যবসায়ী পরিষদের শীর্ষ নেতা আমিরুল হক চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী পরিষদের নেতা ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রক্সি ও নমিনি ভোটারের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানেনি। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে আইনের শরণাপন্ন হবো। ’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ‘পপাতদুষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন জাভেদ।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল লিডার ও বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, সৈয়দ জামাল হোসেন, মাইনুদ্দিন মিন্টুসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সকাল নয়টা থেকে চট্টগ্রাম চেম্বারের ভোট গ্রহণ শুরুর আধাঘণ্টার মধ্যে নমিনি ভোটারের নামে ভূয়া ভোটের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় ব্যবসায়ী পরিষদ।
তবে নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় আছে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্যানেল সরকারদলীয় সাংসদ এম এ লতিফের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম চেম্বার পরিষদ।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর নমিনি ভোটারের নামে ভুয়া ভোটার অর্ন্তভুক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ সংক্রান্ত দুটি রিট আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট।
চট্টগ্রাম চেম্বারের ২৪ টি পরিচালক পদের মধ্যে ১৮টি পদে মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১০ইং