ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঝুঁকিতে ১৬ তফসিলি ব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০
ঝুঁকিতে ১৬ তফসিলি ব্যাংক

ঢাকা: ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের ১৬টি তফসিলি ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের (স্ট্যাটিউটোরি লিকুইডিটি বা এসএল) স্বল্পতার কারণেই এসব ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়েছে।



বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, এসব ব্যাংকের মধ্যে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন উভয় প্রকারের ব্যাংকই রয়েছে।

ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংকের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য সংশ্লিষ্ট  ব্যাংকের মোট সম্পদের ৯ শতাংশ নগদ মূলধন থাকার কথা। কিন্তু এসব ব্যাংকে এ মূলধন রয়েছে ৭ শতাংশের নিচে। কোনো কোনোটিতে এ মূলধন রয়েছে ৬ শতাংশেরও কম।

ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সম্পদ-ঘাটতি পূরণ করতে বন্ড ও রাইট শেয়ার ইস্যু করে ব্যাংকগুলো মূলধন বাড়াচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকসূত্র জানায়, বিশ্বমন্দার কারণে ব্যাংকিং খাত যাতে কোনো ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সে লক্ষ্যেই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত নগদ অর্থ বা তরল মুদ্রা রাখতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসকেসুর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, কিছু ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবেলার সম্পদ কম। তবে এটি পূরণ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক হিসেবে ৪৭টি ব্যাংকের এ খাতে রাখা সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঝুঁকি-মোকাবেলা তহবিলের পরিমাণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত সীমার মধ্যে উন্নীত করতে খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হচেছ। ’

তিনি আরো বলেন, ‘ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতার কারণেই এক্ষেত্রে সম্পদের ঘাটতি সৃষ্টি রয়েছে। ’

ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার ফজলে রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঝুঁকি মোকাবেলায় ‘ঢাকা ব্যাংকেরও সম্পদের কিছুটা কমতি রয়েছে। তবে আমরা  ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে খুব শিগগিরই ২শ’ কোটি টাকার বন্ড ক্রয় করছি। ’

তিনি আরো বলেন, ‘ ঝুঁকি মোকাবেলায় যেসব ব্যাংকের সম্পদ-স্বল্পতা রয়েছে তা দ্রুত পূরণ করা উচিত। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।