ঢাকা : টানা কয়েকদিন উর্ধ্বমুখীর পর রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, সিমেন্ট ও আইটি খাতের শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।
দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৮৩টির এবং কমেছে ১৪৫টির।
রোববার ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পাানির শেয়ারের দাম কমায় বাজার মূলধন ও সব সূচক কমেছে। সে সঙ্গে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন। এদিন ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২ হাজার ৫৮০ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ২৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা কম। সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬২.২২ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
রোববার সকাল থেকে বাজারে বেশ কয়েকটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যার মধ্যে অন্যতম হলো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বাজারের লাগাম টেনে ধরতে নেটিং সুবিধা বন্ধ করে দিচ্ছে। সে সঙ্গে মার্জিন লোন রেশিও আপাতত বন্ধ করে দিচ্ছে। যদিও এ ধরনের গুজবের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নেটিং বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে এসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘কমিশন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কমিশন নিলে আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়ে দেব। বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান দেওয়া উচিত হবে না। ’
বাজারে দরপতন সর্ম্পকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহম্মেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘টানা কয়েকদিন উর্ধ্বমুখী থাকার পর স্বাভাবিকভাবে আজ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। এটা লভাংশ তুলে নেওয়ার কারণে হয়েছে। ’
এদিন লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- সাউথইষ্ট ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এবি ব্যাংক, বেক্সিমকো লি., এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ইউসিবিএল ও উত্তরা ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০