ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকার পুঁজিবাজারে চাঁঙ্গাভাব অব্যাহত, গত সপ্তাহে সূচক বেড়েছে ৫৩৪ পয়েন্ট

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০
ঢাকার পুঁজিবাজারে চাঁঙ্গাভাব অব্যাহত, গত সপ্তাহে সূচক বেড়েছে ৫৩৪ পয়েন্ট

ঢাকাঃ পুঁজিবাজারের চাঁঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে। কোনেভভাবেই শেয়ারবাজারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।

বাজারের এই অস্বাভাবিক উর্ধমুখী রোধ করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) একের পর এক সিদ্ধান্ত নিলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বরং বাজারে নতুন নতুন রের্কড সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিনই ।

সর্বশেষ গত রোববার বাজারের লাগাম টেনে ধরার জন্য এসইসি মার্জিন লোন অনুপাত ১:১ থেকে কমিয়ে ১:০.৫০-এ নিয়ে আসে। সে সঙ্গে তারা দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে এসইসিতে ডেকে বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করার নির্দেশ দেয়।
এই সময়ে এসইসি ও ডিএসই দুই দফায় অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে ১৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়। তারপরেও বাজারের উর্ধগতি রোধ করা যায়নি। বরং ঈদের পর প্রথম সপ্তাহে (২১ থেকে ২৫ নভেম্বর) ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক বেড়েছে ৫৩৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শুরুতে সাধারণ মূল্য সূচক ৮ হাজার ১৮৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট হলেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৮ হাজার ৭২১ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বাজার মূলধন বেড়েছে ১৮ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাজার মূলধন ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২২৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা হলেও শেষ কার্যদিবসে তা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকায উন্নীত হয়।  

অন্যদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে রেকর্ড পরিমাণ ১৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এটি এক সপ্তাহে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন। এ সময় গড় লেনলেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে ব্যাংক, বীমা ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়। এই সময়ে অনেকটা দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে মৌলভিত্তির শেয়ার বিশেষ করে বাংকিং খাতের শেয়ারের দাম আবার অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

বাজারের এই ঊর্ধগতি সর্ম্পকে ডিএসইর সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে শেয়ারের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ছে। এই অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শেয়ারের সরবরাহ রাড়াতে হবে। শুধু সরকারের শেয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।

বাজারের উর্ধগতি রোধে মার্জিন লোন রেশিও কমিয়ে আনার এসইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে লালী বলেন, এই মুর্হুতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শাখা রয়েছে তারা পিই ৪০ পিই রেশিও এবং মার্জিন লোন রেশিও যথাযথভাবে অনুসরণ করছে কিনা তা তদারকি করা দরকার। এতে করে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।  

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৫১৫ ঘন্টা ২৭ নভেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।