ঢাকা: জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের ৪২০ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণের বিপক্ষে সরকার। তবে অনুদানের ৩৫০ কোটি টাকা নিতে আপত্তি নেই।
গত ১১ নভেম্বর পাইলট প্রোগ্রাম ফর ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্সের (পিপিসিআর) আওতায় বিশ্বব্যাংক এই ঋণ ও অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিবেশ ও বন সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিঘাত মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ’
কেনো ঋণ নেবো প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অনুদান দিলেই কেবল তা নেওয়া হবে। ’
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের ঘোষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ও ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ, তাজাকিস্তান ও নাইজারকে ৫০ মিলিয়ন ডলার (৩৫০ কোটি টাকা) করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক।
ওই ঘোষণায় বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্বীকার করা হয়।
জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিল (ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-সিআইএফ) এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিঘাত মোকাবেলা সংক্রান্ত (পাইলট প্রোগ্রাম ফর কাইমেট রেসিলিয়েন্স) পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় এ অনুদান দেওয়া হবে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
তবে সিআইএফ এর আওতায় বাংলাদেশকে ৪২০ কোটি টাকা (৬০ মিলিয়ন ডলার) ঋণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংক।
ওই ঘোষণায় বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, বাংলাদেশসহ অন্য দুই দেশ পিপিসিআর এর পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় এ অনুদান পাবে। জলবায়ু ইস্যতে এটিই তাদের প্রথম বরাদ্দ।
অনুদান ও ঋণের এ টাকা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পূর্নর্বাসন, বাঁধ নির্মাণ ও খাদ্য নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করারও নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
এদিকে জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ নেওয়ার বিপক্ষে দেশের অর্থনীতিবিদরাও।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান বাংলানিউজকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা নই, দায়ী উন্নত বিশ্ব। তাই তাদের উচিৎ ঋণ না দিয়ে অনুদান দেওয়া। ’
বিশ্ব ব্যাংক যে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তা অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়ারও আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০