ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ২৭% নির্ধারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০
ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ২৭% নির্ধারণ

ব্যবসা: লিস্ট

ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ২৭% নির্ধারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি

ঢাকা: ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের ওপর সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৭ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না। সুদের হারের হিসেব ক্রমঃ হ্রাসমান ঋণস্থিতির ওপর নির্ধারণ করতে হবে।

সেই সঙ্গে সাধারণ ঋণের (এক বছর মেয়াদি) ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ন্যূনতম কিস্তির সংখ্যা হবে ৫০।

ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’ (এমআরএ) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশমালা জারি করেছে। ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এ সব নির্দেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।

নির্দেশমালায় বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্রঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে এই সুদের হার কমিয়ে আনার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।

নির্দেশমালায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট তহবিল ব্যয় ও আদায়কৃত সুদের সর্বোচ্চ হারের ওপর ভিত্তি করে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই তাদের শ্রেণী বিন্যাস করবে। সেইসঙ্গে এই তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।

নির্দেশমালা অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠানের আরোপিত সুদের হার তহবিল-ব্যয়ের চেয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেশি  তারা  ‘ক’ শ্রেণীতে, যাদের সুদের হার তহবিল-ব্যয় অপেক্ষা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি কিন্তু ১৫ শতাংশে কম তারা ‘খ’ শ্রেণীতে এবং  যাদের সুদের হার তহবিল-ব্যয় অপেক্ষা ১৫ শতাংশের বেশি তারা ‘গ’ শ্রেণীতে পড়বে। এছাড়া ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট বেতন স্কেল থাকবে এবং তা ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’কে অবহিত করতে হবে।  

নির্দেশমালায় বলা হয়েছে, ঋণ প্রদানকালে ঋণগ্রহীতাদের নিকট থেকে ঋণের আবেদনপত্র, গ্রাহক ভর্তি ফি ও পাসবই ইত্যাদি বাবদ সর্বোচ্চ ১৫ টাকার অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। একই সঙ্গে ঋণ প্রদানকালে ঋণের অর্থ থেকে কোনো প্রকার বাধ্যতামূলক সঞ্চয়, বীমা বা অন্য কোনো খাতে অর্থ কর্তন/আদায় করা যাবে না। ঋণ প্রদানের তারিখ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তি আদায়ের মধ্যে ন্যূনতম বিরতিকাল হবে ১৫ দিন।

অন্যদিকে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আদায়কৃত বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের ওপর ন্যূনতম ৬ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে এবং আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার আগেই ঘোষণা করতে হবে। ঘোষিত সুদের হারের চেয়ে কম হারে সুদ দেওয়া যাবে না।

পাশাপাশি নির্দেশমালায় বলা আরো হয়েছে যে, ক্ষুদ্রঋণ যেহেতু জামানতবিহীন ঋণ, সে কারণে এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতার সঙ্গে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তির প্রয়োজন নেই। তবে শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোগ জাতীয় ঋণের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প আইন অনুযায়ী ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প-এ অঙ্গীকারনামা নেওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।