ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ও ন্যূনতম শেয়ার ছাড়ার শর্ত শিথিল করেছে সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
আইপিও’র মাধ্যমে সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবিত তহবিল মিলিয়ে কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি হলে ওই কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসতে পারবে।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিশন। এর আগে ১৯ অক্টোবর কমিশন সভায় কার্যবিবরণী অনুমোদন করে এসইসি। এসইসির একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যে সব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত কোম্পানির ইন্ডেকেটিভ প্রাইজ নির্ধারণ করবে ওই প্রতিষ্ঠানকে বিডিংয়েও অংশগ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের জন্য তালিকাভুক্তির শর্ত কিছুটা শিথিল করা হযেছে। এতে বলা হয়েছে কোনো কোম্পানি প্রথম বছর লাভজনক অবস্থায় থাকলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে।
এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির মার্কেট লট হতে হবে ফেইস ভেল্যু অনুসারে কমপক্ষে ১ হাজার টাকার কিংবা তার গুণিতক।
এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার কম হলে পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ ছিল না। এ সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার বাজারে কম মূলধনের ছোট কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির পথ সুগম হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০