ঢাকা: নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে আখ চাষের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশন। এলক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণের জন্য দুইশ’ ৮১ কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে কর্পোরেশন।
এ টাকা কৃষকের মধ্যে সহজ শর্তে ঋণ, উন্নতজাতের বীজ ও সার এবং আগাম মূল্য হিসেবে বিতরণ করা হবে।
এর পাশাপাশি প্রতি বছরের যে ৯০ কোটি টাকার নিয়মিত তহবিল রয়েছে তাও বিতরণ করা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা) মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
এছাড়া আখ চাষে দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে কর্পোরেশন। বর্তমানে ভর্তুকির পরিমাণ ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
কর্পোরেশনের এ উদ্যোগে দেশের ১৫টি চিনিকল এলাকার আখ চাষের জমির পরিমাণ ৪৩ হাজার হেক্টর থেকে বেড়ে দাঁড়াবে দুই লাখ সাত হাজার হেক্টরে।
চলতি মৌসুমে দেশে আখ চাষ হয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে। যা গত ২০০৯ সালের তুলনায় ৩৫ হাজার হেক্টর বেশি।
চলতি বছর দেশে চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রনজিৎ বিশ্বাস এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘চিনি সংকট দুর করতে দেশে আখের চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’
তবে কেবল আখ চাষ বাড়ালেই চলবে না, একইসঙ্গে চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং পুনর্বাসনও প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রনজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘দেশের ১৫ টি চিনিকলের উৎপাদন ক্ষমতা দুই লাখ ১০ হাজার ৪শ’ ১৫ মেট্রিক টন। ’
তবে আখের অভাব এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে নবীন চিনিকলের বয়স ২৬ বছর আর পুরোনোটির বয়স ৭৬ বছর। ’
উল্লেখ্য, দেশে প্রতিবছর চিনির চাহিদা ১৪ লাখ মেট্রিক টন। সাতটি রিফাইনারির মাধ্যমে অপরিশোধিত চিনি শোধন এবং সরাসরি পরিশোধিত চিনি আমদানির মাধ্যমে অবশিষ্ট চাহিদা পূরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০