ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কালোটাকা সাদা করার সরাসরি কোনো সুবিধা রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৫, জুন ৩, ২০২৫
কালোটাকা সাদা করার সরাসরি কোনো সুবিধা রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার জন্য সরাসরি কোনো সুবিধা রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আগের মতো কোনো বিশেষ সুযোগ নেই, তবে নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করে কেউ চাইলে তার অপ্রদর্শিত আয়কে ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। এটা মূলত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নয়। বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর দিয়ে যেকোনো অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটা পথ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার বাজেটে দুটি নির্দিষ্ট সুযোগ রাখা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে কোনো ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে কর দিয়ে সেটি বৈধ করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো সংস্থা যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আয়কর বিভাগ কিংবা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর তদন্ত চালাবে না।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় সুযোগটি হলো—যদি কেউ নিজের নামে থাকা জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থে বাড়ি নির্মাণ করেন, তাহলে তাকে দ্বিগুণ হারে কর দিতে হবে। এ অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলেই তার বিনিয়োগ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

গত বছরই কালোটাকা বৈধকরণের সুযোগ বাতিল হয়েছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর (আগস্ট ২০২৪) থেকেই কালোটাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এবারও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।

শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয়নি। এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থ করযোগ্য নয় এবং সেটিকে করের আওতায় আনার কোনো পরিকল্পনাও নেই।

এ সময় সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি  উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এন‌বিআর চেয়ারম‌্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বি‌ভিন্ন আর্থিক খা‌তের প্রধানরা।

জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।