ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারে চাঙা হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড

এসএম গোলাম সামদানী স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১০
পুঁজিবাজারে চাঙা হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড

ঢাকা: পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর চাঙা হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড। এইমসের রাইট বোনাস সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার আপিল না করার ঘোষণায় এমনটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ২৯টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৮টিরই দাম বেড়েছে। দিনশেষে দাম বাড়ার শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় ৪টি ছিল মিউচুয়াল ফান্ড।

বুধবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এইমসের রাইট বোনাস সংক্রান্ত মামলার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করার ঘোষণা দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, ‘এইমস এর রাইট বোনাসের খবরে একই ধারার অন্য কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে- এটি সত্যি। এর কারণ মানুষ আশা করছে অন্য ফান্ডগুলোর দামও বাড়বে। যদিও এ আশাটি যৌক্তিক নয়। ’

মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম সব সময়ই নেট অ্যাসেট ভ্যালুর কাছাকাছি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অবশ্য বৃহস্পতিবার তেমন একটা লেনদেন হয়নি এইমস এর ইউনিট। ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা প্রায় না থাকায় এমনটি হয়েছে। দিনশেষে এইমসের প্রতি ইউনিটের সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৪ টাকা ৯০ পয়সা।

এটি গতকালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি এবং সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা। দিনশেষে এইমসের ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ইউনিট ৬৬৬ বারে লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।  

অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। গত দুই বছরে এই খাতে বিনিয়োগ করে কোনো কোনো বিনিয়োগকারী ফোর্স সেলের আওতায় পড়ে পুঁজির পুরোটাই খুঁইয়েছেন।    

২০০৯ সালেরর ২৬ অক্টোবর এসইসি অতিমূল্যায়িত হওয়ার অভিযোগে বাজারে লেনদেন হওয়া ২০টি মিউচুয়াল ফান্ডের মার্জিন লোন সুবিধা হঠাৎ করে স্থগিত করে দেয়। এই ঘোষণার পর থেকে বাজারে এই খাতে দরপতন শুরু হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর এসইসি ১০ বছরেরও বেশি পুরনো সব মিউচুয়াল ফান্ড গুঁটিয়ে ফেলার আরেকটি নির্দেশনা দেয়। এর পর থেকে বাজারে এই খাতের আরেক দফা দরপতন  হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এইমস মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড দুই বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এসইসি এইমস মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর ৭ মার্চ এইমসের রাইট ও বোনাস শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় এসইসি। ৮ মার্চ থেকে এইমসের লেনদেন পুনরায় চালুর নির্দেশ দেয় তারা। এইমসের রাইট ও বোনাস শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার পর আবারো মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরপতন শুরু হয়। এরপর একজন বিনিয়োগকারী এসইসির দেওয়া সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। গত ৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিনিয়োগবারীদের পক্ষে রায় দেয়।

বাংলাদেশের সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।