ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সড়ক সংস্কার: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১০
সড়ক সংস্কার: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া/আখাউড়া: সড়কের সংস্কার কাজের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত আগরতলা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগরতলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি ১০ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।



আগরতলার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রীর সফর উপলক্ষে তাদের বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সাত দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অবশ্য স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চলবে।

এর আগে ঢাকা-আগরতলা সড়কের আখাউড়ার অংশ সংস্কারের দাবিতে ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এবং দুর্গাপূজার কারণে ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।

আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকতা মো. আবুল বাশার চৌধুরী জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর উপলে সে দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জিরো পয়েন্ট থেকে চার’শ মিটার রাস্তা পুনঃসংস্কার করবে। এজন্য তারা পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘আগরতলার আমদানি-রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিষ বিশ্বাস জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফর উপলে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো পণ্য তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করবে না। ’

এতে করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম. মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশে বাংলাদেশী সব পন্য রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ভারতীয় কর্তৃপ অজুহাত পেলেই স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, ‘সে দেশের রাস্তায় শুধু কার্পেটিং এর জন্য ৬/৭দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না। তার পরও আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ করেছি- আমাদের মাছরপ্তানি স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নিতে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ থেকে তেমন কোন সাড়া পাইনি।

‘নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত শুধু দুই দেশের যাত্রী পারপার ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে’, বলেন সফিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।