ঢাকা: নতুন টাকার নোটে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডার মতো ঐতিহাসিক স্থানের ছবি স্থান পেয়েছে। এসব স্থাপনা যে ধর্মের হোক না কেন সমালোচনা হবে না।
শনিবার (২৪ মে) শের-ই-বাংলা নগরে পল্লী কর্মসহায়ক সংস্থান ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আহসান এইচ মনসুর এ কথা জানান।
গভর্নর বলেন, যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের যে সম্পদ জব্দ হয়েছে সেগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর রোধ করা হয়েছে। এরপর বিচার হবে। বিচার শেষে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে- এমন প্রমাণ হলে অর্থ ফেরত আনা হবে। দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আরও যে-সব সম্পদ আছে সেগুলোরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ অন্য কোনো দেশে পাচার হয়ে থাকলেও সেগুলোর ফেরতে কাজ চালু থাকবে।
বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এরপর অন্য কোনো সরকার দায়িত্বে এলেও এ ধরনের কমিটমেন্ট থাকতে হবে- বলেন তিনি।
নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, বিগত সরকার এটা শুরু করেছিল, কিন্তু অনুমোদনের প্রক্রিয়া সঠিক না থাকার কারণে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেজন্য নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি ক্ষুদ্র ঋণের সুদ হার কমাতে অটোমেশন ও দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, অটোমেশন করতে পারলে খরচ কমবে। আর খরচ কমলে ঋণ বিতরণে গ্রাহক পর্যায়ে সুদ হার কমানো সম্ভব হবে। তা না হলে একই বাজারে এক পক্ষ ১৪ শতাংশ হারে সুদ নেবে, আরেক পক্ষ ২৬ শতাংশ চাইবে। এটা মার্কেট সমর্থন করে না। দক্ষতা বাড়িয়ে সুদ হার কমাতে হবে। আগের মতো সনাতনী পদ্ধতিতে করতে গেলে খরচ কমানো সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, টিকে থাকতে হলে দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ একই বাজারে ডিজিটাল ব্যাংক আসবে, ন্যানো ঋণ ব্যবস্থা আসবে। সেখানে সুদ হার না কমালে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। সুদ হার বাজারই নিয়ন্ত্রণ করবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণমূলক কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
জেডএ/আরবি