ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দ্বিগুণ হবে- বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১০

ঢাকা:  বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দ্বিগুণ হবে। ’ তিনি বলেন, ‘শুধু উন্নত বিশ্ব নয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিন্তু মন্দা মোকাবেলার জন্য ঘোষিত ১.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঠিক হয়নি।

অন্যদিকে, উন্নত বিশ্বের ক্রেতারা এদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ে মূল্য কম দিতে এ দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে নানাভাবে দর কষাকষি করে থাকে। ’

তিনি বলেন, ‘তারপরও বাংলাদেশের মানুষ সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা দিয়ে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা  করেছে, পরিশ্রমের বিনিময়ে গত অর্থবছরে ৪.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দেখিয়ে দিয়েছে।   তুলা ও সুতার বিদ্যমান সমস্যা মোকাবেলা করে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করা হবে। ’

বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)-এর দশক পূর্তিতে সোমবার স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এ কথা বলেন।  


মন্ত্রী তার বক্তব্যে সম্প্রতি ভারত সফরকালে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে ১ লাখ ৩৬ হাজার তুলার বেলের চালান মাঝপথে আটকে যাওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।   এ ছাড়াও ভারত আরো ১১ লাখ বেল তুলা বাংলাদেশকে দেবে বলে জানিয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি চলতি মাসের ৭ থেকে ১২ তারিখে উজবেকিস্তান সফরে যাবেন। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের সম্ভাবনা আছে এবং তুলার বিষয়ে আশাব্যঞ্জক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া তিনি আফ্রিকান তুলা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন বলে জানান।  

তুলার সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রী ৫টি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এগুলো হচ্ছে, গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উৎপাদন বাড়ানো, সময়মতো তুলা ক্রয় ও স্টোর করা, অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি এবং সমতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি।

বিসিএ-এর সভাপতি মুহাম্মদ আইউব-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি একে আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বিটিএমএ-এর সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, বিজিএমইএ-এর সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএ-এর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।