ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড় লেনদেন প্রথমবাবের মতো আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে (২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর) ডিএসইতে ১৩ হাজার ১০১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ অক্টোবর) ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৮ হাজার ১৭১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ওই সময়ে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ফলে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৫৭৮ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২ দিন লেনদেনে নতুন রের্কড সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে যথাক্রমে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ও ২ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়ে নতুন রের্কড সৃষ্টি করে।
গত সপ্তাহ জুড়ে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে যাওয়ায় বাজার মূলধনে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইর বাজার মূলধন ৮ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তখন সাধারণ সূচকও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। আর এ সবের পেছনে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়াই ছিল প্রধান কারণ।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, টানা কয়েকদিন ধরে বাজার ঊর্ধ্বগতি থাকায় বিনিয়োগকারীরা লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। ফলে তারা লাভজনক শেয়ার বিক্রি করে লভ্যাংশ তুলে নিচ্ছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশের টাকা বাজারে আবার নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। এতে করে বাজারে লেনদেন বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে, বাজারে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত হওয়ায় নগদ অর্থের সরবরাহ বেড়ে গেছে। কিš,‘ সে তুলনায় শেয়ারের সরবরাহ না বাড়ায় লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার তুলনায় শেয়ারের সরবরাহ কম থাকায় শেয়ারের দাম ও লেনদেন বেড়ে গেছে। তাই, এ অবস্থা থেকে রক্ষার প্রধান উপায় হলো, বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো। ’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৩য় প্রান্তিক রির্পোট প্রকাশের সময় থেকে আগাগোড়াই সময় বাজার ঊর্ধ্বগতি থাকে। তবে, এবার আরো আগে থেকেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০
এসএম গোলাম সামদানী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট