ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক পরিবার থেকে দুইয়ের বেশি পরিচালক নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক পরিবার থেকে দুইয়ের বেশি পরিচালক নয়

অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ডুবতে বসা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অযাচিত হস্তক্ষেপ রোধে পরিচালকদের বিচরণ নিয়ন্ত্রণে আনছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি নির্দেশনা জারি করে সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী একই পরিবারে দুইয়ের অধিক পরিচালক হতে পারবেন না। কোনো পরিচালকই তিন মেয়াদে নয় বছরের অধিক থাকতে পারবেন না।  

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহের সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে পরিচালক পর্ষদ গঠন, পরিচালকের দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্দেশনাটি জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানিতে সুশাসন নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম যথাযথ ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে উপযুক্ত ও পেশাগতভাবে দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হতে হবে।  

পরিষদের মেয়াদ হবে তিন বছর। একই পরিচালক তিন মেয়াদে নয় বছরের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না। ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় সব পরিচালক অবসর গ্রহণ করবেন।  

পরে প্রতি বার্ষিক সাধারণ সভায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক অবসর নেবেন। অবসর নেওয়া পরিচালক পুনরায় নিযুক্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন।

পরিচালক নিযুক্ত হওয়ার যোগ্যতা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিধানানুযায়ী ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে হবে। ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পরিচালকের ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে।

ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত, সরকারের কোনো সংস্থা বা বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পাদিত তদন্ত বা পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী জালিয়াতি, প্রতারণা, আর্থিক অপরাধ বা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা যাবে না।

আদালত কর্তৃক দেউলিয়া হয়েছেন কিংবা কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে তার নামে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য রয়েছে- এমন হওয়া যাবে না।  
 
খাতসংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধিমালা, প্রবিধান, নীতিমালা বা নিয়মাচার লঙ্ঘনজনিত কারণে দণ্ডিত হওয়া যাবে না। নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বা কোনো প্রতিষ্ঠান অবসায়িত হয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা ব্যক্তি অযোগ্য হবেন।  

খেলাপি ঋণগ্রহীতা হওয়া যাবে না। এমনকি কোন নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে অবসরের গিয়ে পাঁচ বছর পার না হলে পরিচালক তিনি হতে পারবেন না। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনরূপ নিয়ন্ত্রণ আছে- এমন ব্যক্তিও পরিচালক হিসাবে অযোগ্য হবেন।

পরিচালক পদ বাতিল

অর্পিত দায়িত্ব অবহেলা করলে, মিথ্যা তথ্য দিলে, যোগ্যতার ঘাটতি প্রমাণিত হলে হলে, আমানতকারীর স্বার্থ এবং ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বার্থকে উপরে স্থান দিতে ব্যর্থ হলে পরিচালকের পদ বাতিল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।