ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যক্তি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনাকে মূল্যায়নের তাগিদ: ড. মসিউর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
ব্যক্তি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনাকে মূল্যায়নের তাগিদ: ড. মসিউর

ঢাকা: গত কয়েক দশকে আমাদের অর্থনীতির মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। তার মধ্যে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ অন্যতম।

এ অবস্থায় কোনো নীতির সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যক্তি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনাকে মূল্যায়ন করেই নীতি প্রণয়ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা (জুলাই-ডিসেম্বর)’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

চলতি ২০২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে অর্থনীতির সার্বিক  প্রেক্ষাপটের ওপর উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, স্থানীয় অর্থনীতিতে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, জাতীয় বাজেট ও মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন অবস্থা, মুদ্রাস্ফীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কৃষি, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, সিএমএসএমই, তথ্য-প্রযুক্ত এবং সেবা খাত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আশরাফ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্মার্ট অর্থনীতিতে পরিণত করতে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে উন্নয়ন, টেকসই নীতি সংষ্কার, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন এবং সর্বোপরি বেসরকারিখাতে ঋণ প্রাপ্তিরর সহজলভ্য করা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, জিডিপিতে বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের অবদান কমে যাওয়াটা উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, সহনীয় মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি  প্রাপ্তি, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন জরুরি। এছাড়াও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়গুলোর মধ্যকার সমন্বয় আবশ্যক।

এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীরণ এবং বাজার সম্প্রসারণে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করেন ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সম্প্রসারণের ওপর জোর দিতে হবে।

সস্প্রতি তৈরি পোশাক খাতে প্রণোদনা সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আগ থেকেই বেসরকারি খাতকে অবহিত করলে বেসরকারিখাত সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সহমত হবে।

ড. মসিউর রহমান বলেন, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের  ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ কোনো সরকার এককভাবে সমাধান করতে পারবে না।

তিনি বলেন, কর ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুরোনো কথাবার্তা এখনও চলছে, বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা প্রয়োজন।

দেশের জাতীয় আয় ও রাজস্বের অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, কর ব্যবস্থার হারের গড়মিলের কারণে করদাতাকে অনেক সময় নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি কর দিতে হচ্ছে, যা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটাতে বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তবে বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে প্রাপ্তিতে সরকারের এগিয়ে আসতে হবে।

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে নীতি স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে কারো কোনো দ্বিমত নেই। তবে নতুন পণ্য এবং নতুন বিনিয়োগ বিষয়ে নানামুখী চাপও রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।