ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখনো চড়া পেঁয়াজের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এখনো চড়া পেঁয়াজের বাজার

ঢাকা: অসাধু মজুতদারদের কারসাজিতে রাতারাতি লাফ দিয়ে বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। এরপর একাট্টা ভোক্তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং সরকারের পদক্ষেপে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানা গেলেও রাজধানীর বাজারে এখনো চড়া পেঁয়াজের দাম।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর-১০ কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

পেঁয়াজ নিয়ে সংকটের শুরু হয় গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পণ্যটি রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে। ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হতে থাকা পেঁয়াজের দাম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হয়ে যায় ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত। এতে খোদ সরকারের সংশ্লিষ্টরাই উষ্মা প্রকাশ করেন।  

যদিও এবার দাম বাড়ার পর দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আগে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে অনেক ক্রেতা সংকটের আশঙ্কায় বাড়তি কিনে নিতেন। কিন্তু এবার ভোক্তারা বাড়তি দামে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়তি দামে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণাও চালানো হয়। পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। এতে কিছুটা কমে পেঁয়াজের দাম।  

তবে ক্রেতারা বলছেন, যে হারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল, সে তুলনায় কমেনি। ক্রেতার নাগালে পেঁয়াজের দাম নিয়ে আসতে সরকারকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ। সেইসঙ্গে পেঁয়াজের ফুলকারও চাহিদা বেড়েছে। তবে, তুলনামূলক কম হলেও বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ২০০ টাকা আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।

মিরপুর-১০ এলাকার কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ বাংলানিউজকে জানান, ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দাম বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের। রাতারাতি দ্বিগুণ হয়ে যায় দাম। যদিও এখন কিছুটা কমেছে। তবে তাদেরও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে, বিক্রিও করতে হচ্ছে চড়া দামে।

বাজারে পেঁয়াজ কিনছিলেন শামসুল ইসলাম নামের একজন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো চড়া। যেখানে ৫০-৫৫ টাকা কেজি ছিল, কমেও তো সেটা এখন ধারে-কাছে নেই। আমি বলব, এটা নাগালের বাইরেই।

গৃহিণী রাজিয়া সুলতানারও একই মত। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি। রাতারাতি বাড়ার পর কিছুটা কমেছে যদিও, সেটি চড়া দাম-ই আমি বলব। অন্যান্য মসলার দামও বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এমকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।