ঢাকা: কৃষি খাতে ঋণ প্রদানে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জোর তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন।
আতিউর রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ডাল, তেলবীজ ও মসলা জাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের মাত্র ২ শতাংশ হার সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ব্যাংকগুলোর অনীহা এবং প্রচার-প্রচারণার অভাবে এ ব্যাপারে অনেকেই অবগত নয়। যে কারণে উদ্যোগটি তেমন কার্যকর বা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
যথাযথ প্রচারণাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এ মাস থেকেই ব্যাংকগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
গভর্নর বলেন, ‘ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে ব্যাংকগুলোর মূল্যায়ন প্রতিবেদনে (ক্যামেল্স রেটিং) এর প্রতিফলন ঘটবে। ’
ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে এলাকায় যে ফসল ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ব্যাংকগুলোর সুদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সম্পর্কে ড. আতিউর বলেন, ‘এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকগুলোকে ধর্ণা দিতে হবে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমেই তা পরিশোধ করা হবে। ’
বৈঠকে অন্যান্য আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল- ১০ টাকায় খোলা কৃষকদের হিসেব সচল রাখার পাশাপাশি অধিকতর কার্যকর করা, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় লবন চাষীদের জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক বর্গাচাষীদের রেয়াতি (৪ শতাংশ) সুদ হারে ঋণ বিতরণ, ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের একক ভিত্তিক ঋণ প্রদানের পাশাপাশি দলগত জামানত কাজে লাগিয়ে তাদের দল ভিত্তিক ঋণ প্রদান, ক্ষুদ্র পোলট্রি খাতে ও তুলা চাষে ঋণ প্রদান ইত্যাদি।
গভর্নর বলেন, ‘প্রায় ৯০ লাখ কৃষক ব্যাংক একাউন্ট খুলেছে। এর ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ লাখ একাউন্টও যদি সচল থাকে তাহলেও তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’
এসব একাউন্ট সচল রাখার জন্য কৃষিসহ অন্যান্য ঋণ বিতরণ, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এসব একাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো, সঞ্চয়ী আমানত ও ঋণ প্রদানে সুদের হারের ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের গ্রাহকদের তুলনায় কিছুটা বেশি সুবিধা দেওয়া যায় কি না- এসব ব্যাপারে ব্যাংকগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর, ২০১০