ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো সরকারের এখতিয়ার: চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০
আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো সরকারের এখতিয়ার: চেয়ারম্যান

ঢাকা: আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানোর হবে কিনা এটা সরকারের এখতিয়ার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ ক্ষেত্রে করার কিছু নেই।

এনবিআরের কাজ সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা ।

পাঁচদিনব্যাপী আয়কর মেলার সমাপনী দিনে বৃহস্পতিবার সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়াতে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আয়কর আইনে সুস্পষ্ট লেখা আছে ৩০ সেপ্টেম্বর রিটার্ন জমা ও আয়কর দেওয়ার শেষ দিন।
সে অনুযায়ি আজই হচ্ছে সেই দিন। সময় বাড়ানো কালচার থেকে সড়ে আসতে হবে। অর্থমন্ত্রীও বার বার একথাটিই বলছেন। ’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর আয়কর রিটার্নের সময়সীমা শেষ হয়েছে। সরকার চাইলে পরে তা আবার বাড়াতে পারে। সময় বাড়ানো হলে সবাইকে জানানো হবে। ’

এসময় তিনি এনবিআরকে আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

এছাড়া সকল বিভাগীয় শহরে আরো ব্যাপকভাবে আয়কর মেলার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।

মেলা কমিটির সভাপতি ও করাঞ্চল-১ এর কর কমিশনার এম এ কাদের সরকারের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাধমিক ও গণশিক্ষা সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান। অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড সদস্য আমিনুর রহমান, বশিরউদ্দিন আহমেদ, শম্ভুনাথ দাস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট রাজস্বের ৩০ শতাংশ আসে আয়কর থেকে।   কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতে আয়কর থেকে আসে মোট রাজস্বের ৬০ শতাংশ। আয় কর মেলার মাধ্যমে জনগণের সচেতনতা  বাড়বে ও ভয় ভীতি দূর হলে আয়কর বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এছাড়া এবার প্রথম আয়কর মেলায় যে সাড়া পাওয়া গেতে তাতে অবিভূত এনবিআর। মেলায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১শ ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৩ টাকা আয়কর দেওয়া হয়েছে।

২৬ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট রিটার্ন জমা পড়েছে ৫৫ হাজার ৫শ ৭ জনের। রিটার্ন নাম্বার দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৫ শ ৬০ জনকে। এর বাইরে মেলার মাধ্যমে আরো ৪০ হাজার রিটার্ন ও টিন বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়; ১৮০৩ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।