ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম

মসিউর আহমেদ মাসুম,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম

ঢাকা: রাজধানীর বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চাল, আটা, চিনি, পেয়াঁজ, রসুন, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাজারভেদে সবজির দাম ভিন্ন হলেও বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে কাঁচামরিচ ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম বাড়তির দিকে।



সরেজমিন দেখা গেছে খুচরা বাজারে মিনিকেট (চিকন) চাল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা আর মিনিকেট (মোটা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। এক নম্বর নাজির বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায় আর গলির দোকানগুলো এ চাল বিক্রি করছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া স্বর্ণা (পারি) ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা এবং বিআর ২৮, ২৯ (মোটা) ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল বাজারের ফারুক স্টোরের বিক্রেতা আলমগীর জানালেন, ঈদের আগে যে চাল ৩০-৩২ টাকা ছিল সেই চাল এখন ৩৫-৩৬ টাকা হয়েছে। কাঠাঁল বাগান বাজারের চাল বিক্রেতা জসিম জানালেন চালের দাম গত এক সপ্তাহ ধরে একই আছে। বেড়েছে শুধু ঈদের পর।

এদিকে প্যাকেট আটার দাম কেজি প্রতি বেড়েছে প্রায় আট টাকা। আগে দুই কেজি ওজনের তীর ও এসিআই আটা যেখানে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হতো এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এজন্য কোম্পানি থেকেই দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন দোকানিরা।

বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। তবে কোথাও আবার ৫৫-৫৮ টাকা দরেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। গলির দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়।

চিনির দামের ব্যাপারে ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের রাজধানী জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. হোসেন বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা চিনি কেনার সময় ‘স্লিপ’ দেয়না। তারাই যদি বেশি দাম রাখে তাহলে আমরা কিভাবে কম রাখবো। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালত এসে আমাদের জরিমানা করে।

দেশি এবং ভারতীয় পেয়াঁজ প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় রসুনের দাম স্থির থাকলেও দেশি রসুনের দাম বেড়েছে। এখন এ রসুন বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ২শ ২০ টাকা দরে। ডাল আগের দর অর্থাৎ মোটা ৯০, দেশি একশ ও ক্যাঙ্গারু একশ পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে গত এক সপ্তাহে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে দুই দফা। বোতলজাত তীর ও রূপচাঁদার দাম দুই দফায় বেড়েছে কেজি প্রতি আট টাকা। বর্তমানে তীর পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ ৫৪ টাকায়। যা আগে ছিল ৪শ’ ১৪ টাকা। রূপচাঁদা পাঁচ লিটারের বর্তমান মূল্য ৪শ’ ৬৪ টাকা। আগে ছিল ৪শ’ ২৪ টাকা।

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের বেঙ্গল স্টোরের মালিক মো. মহিউদ্দিন জানালেন, খোলা সয়াবিন তেল ৮৩ টাকা, সুপার পাম সাড়ে ৮২ ও পাম ৮২ টাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে গলির দোকানগুলোতে যথাক্রম ৯৫, ৯০ ও ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ভোজ্য তেল।

বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে। আগে ছিল ২৪ টাকা। মুরগি ব্রয়লার প্রতিকেজি একশ’ ৪৫ টাকা ও লেয়ার একশ’ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাওরান বাজারে ব্রয়লার এবং লেয়ার যথাক্রমে একশ’ ৩০ ও একশ’ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারে কাচাঁমরিচ ছাড়া সব সবজির দামই বাড়তির দিকে। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানালেন যোগান কম। শীতের সবজি বাজারে আসার আগ পর্যন্ত সবজির দাম এরকম ওঠানামার মধ্যে থাকবে বলে তারা জানালেন।

বাজার ভেদে সবজির দারে কিছুটা তারতম্যও লক্ষ্য করা গেছে। কাচাঁমরিচ কোথাও ৪০, কোথাও ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে কাচাঁমরিচ।

বেগুন ৩০ থেকে ৪০, পটল ২৪ থেকে ৩০, ঢেঁড়স ৩৬, করলা ৩২, কচুর মুখি ৩০, সিম ৭০ থেকে ৮০,
শশা ৩০, চিচিঙ্গা ৪০ ও আলু ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।