ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিনি আমদানিতে ডিউটি কমাতে এনবিআরকে অনুরোধ বাণিজ্যমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
চিনি আমদানিতে ডিউটি কমাতে এনবিআরকে অনুরোধ বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ঢাকা: চিনি আমদানিতে ডিউটি কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকেও একটি ক্রাইসিস সেল খোলা হবে বলে জানান তিনি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির’ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

নভেম্বরে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। কিন্তু বাজারে এখনও ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ কী জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একটা কথা ঠিক বাজারে যারা ব্যবসায়ী তারা ফেরেস্তা না। কিন্তু আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দেই সেটা সব সময় দিতে হবে তা কিন্তু নয়। আমরা শুধু দাম কতো হওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করে দেই। তারপরও দেখি ব্যবসায়ীরা কোথাও কোথাও চিনিতে সুবিধা নিয়েছেন। তবে আমাদের কাগজপত্র বলে প্রচুর পরিমাণ চিনি রয়েছে। পাইপ লাইনেও আছে। আপনারা দেখছেন আমাদের ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে। এখন আমরা চিন্তা করছি এর বাইরে যদি প্রয়োজন হয় জেলের ব্যবস্থা করে কারাগারে পাঠানোর যায় কিনা।

তিনি বলেন, চিনির দামটা যেটুকু বেশি আছে সেটা কমে আসবে। আজকে একটু কথা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যে আসছে তাকে বলেছি চিনির ওপর ডিউটি যদি একটু কমানো যায় বা কনসিডার করা যায় তাহলে দামের ওপর প্রভাব পড়বে বা দাম কমে যাবে।

চিনি আমদানিতে অনুমোদন দেবেন কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি আছে। অন্য বছরের তুলনায় প্রচুর চিনি রয়েছে। আর আমদানি তো ওপেন আছে। বাজারে যা চিনি মজুদ আছে সেটা কোনো অবস্থায় দেশের জন্য বিপ্জ্জনক নয়। আমরা শুধু সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চিনি পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাজারে ঘাটতি আছে সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি করতে পারে আর পারে না সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটা ভোক্তা অধিকার আছে, তারা সেটা দেখছে। আমরা আমাদের মতো করে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কে কী বলেছেন সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার দেখার বিষয় যে দাম হওয়া উচিত, যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা। আর যে ব্যাপার রয়েছে সেটা হলো টেকনিক্যাল ব্যাপার সেটা তো অস্বীকার করতে পারি না।

তিনি বলেন, যারা চিনি উৎপাদন করে তাদের নিয়মিত গ্যাস সাপ্লাই দরকার। সেখানে সমস্যা হলে তারা আর কাজ করতে পারবেন না। আমরা সবাই জানি কোথাও কোনো না কোনো সমস্যা আছে। আজকে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো করে দেখার জন্য আমরা চিন্তা করেছি কিছু নির্ধারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। খুব শিগগিরই এই কমিটি করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও বলেছি তারা যদি একটি ক্রাইসিস সেল খোলে। এই সেল দেখবে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যতো টা না সমস্যা হচ্ছে তার থেকে বেশি অপপ্রচার হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।