ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সবরি কলার উন্নয়নে এনআরসিবি-উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের চুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
সবরি কলার উন্নয়নে এনআরসিবি-উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের চুক্তি

আগরতলা(ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় বেড়েছে কলার চাহিদা। এ রাজ্যে সবরি, চম্পা, বর্তমান, ঝাঁজি, কাঁচকলা, সাগরসহ নানা জাতের কলার চাষ হয়ে থাকে।

তবে এদের মধ্যে সবচে বেশি চাহিদা সবরি কলার। ফলে সবরি কলার গুণগত মান উন্নয়নে উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ত্রিচিপল্লীর ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর বেনানার(এনআরসিবি) সঙ্গে উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রের একটি চুক্তি হয়েছে।

যেকোন ধরণের রোগমুক্ত এবং আরও ভালো ও দ্রুত ফলনশীল চারা উৎপাদন করার লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয়।

এদিকে রাজ্যে সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতর অন্তর্গত উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ কৃষকদের সবরি কলা চাষে উৎসাহিত করছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের মধ্যে বিভিন্ন সময় যেসব ফলের চারা দেওয়া হয় এরমধ্যে সবরি কলার চারা থাকে।

জানা গেছে, বিভিন্ন ধরণের ফলমূলের গাছপালা নিয়ে গবেষণা করার জন্য উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের একটি টিস্যু কালচার ল্যাব রয়েছে আগরতলার নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে। এখানে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে যেসব চারা উৎপাদন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সবরি কলার চারা।  

নাগিছড়ার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রের টিস্যু কালচার ল্যাবে গবেষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে এ কেন্দ্রে তিনজন গবেষক আগরতলায় আসেন। গবেষক টিমে ছিলেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টি ড. এস বাকিয়ারানী এবং পোষ্ট ডক্টরাল ফেলোস যথাক্রমে ড. কার্তিক এম রাজু এবং ড. এস কল্পনা।

প্রিন্সিপাল সায়েন্টি ড. এস বাকিয়ারানী বাংলানিউজকে বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে সবরি কলার চাহিদা প্রচুর। রাজ্যের মাটিতে সবরি কলার চাষ হচ্ছে। কিন্তু কিছু রোগের কারণে ফলন ভালো হচ্ছে না। এ কলার গুণগত মান উন্নত করতে হলে, উন্নত মানের রোগ মুক্ত কিছু উপাদান প্রয়োজন। যা ত্রিপুরায় পাওয়া যায় না। সাধারণ টিস্যু কালচার পদ্ধতিতেও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

আগরতলার টিস্যু কালচার ল্যাবে যে পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করা হয়, এতে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০টি চারা উৎপাদন করা সম্ভব হতো সেখানে নতুন এ পদ্ধতিতে ৪০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত চারা উৎপাদন করা সম্ভব হবে মাত্র একবারে। সেই সঙ্গে নতুন পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারাগুলো সম্পূর্ণ রোগমুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

নাগিছড়ার টিস্যু কালচার ল্যাবের প্রধান আধিকারিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ঝর্ণা দত্ত বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমাণে উন্নত মানের কলাচারা উৎপাদন করা সম্ভব হবে এবং এ চারাগুলো মাঠে লাগানো হলে খুব ভালো মানের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তাছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যে সবরি কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রাজ্যে সবরি কলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
নানা ধরনের রোগের কারণে রাজ্যের সবরি কলা চাষের যে ক্ষতি হয়েছে তা আগামী দিন ব্যাপক পরিমাণে চাষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এসসিএন/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।