ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে আগরতলায় বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে আগরতলায় বিক্ষোভ

আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা ভারতজুড়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে সিপিআইএম দলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দলের পলিটব্যুরোর ডাকে এ কর্মসূচি চলছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ মে) বিকেলে আগরতলায় এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে সিপিআই (এম) দলের পশ্চিম জেলা কমিটি।  

এদিন বিকেলে মিছিলটি রাজধানীর মেলার মাঠ এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে প্রচুর সংখ্যক দলের কর্মী-সমর্থক সামিল হয়েছিলেন।

মিছিলের শুরুতে দলের পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেওয়া আর্থিক নীতির ফলে গোটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরমভাবে সংকটাপন্ন। বিশেষ করে আদানি আম্বানির মতো করপোরেটদের স্বার্থরক্ষাকারী অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের ফলে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে কাজ এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, তার সর্বকালীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত এক বছরে আদানি শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্য থেকে ৫৪ হাজার কোটি রুপির বেশি মুনাফা করেছে। পণ্যের দাম, জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাসের দাম ৭০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশের বেশি। অন্যান্য আরও সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি হয়েছে গত এক বছরে। এক বছরে যেকোনো পণ্যসামগ্রীর মূল্য বেড়েছে ন্যূনতম ২০ শতাংশ।  

দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার ফলে মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমনিতেই মানুষের কাজ নেই, বেকারদের চাকরি নেই। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় দেশের বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি অবস্থায় পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য চূড়ান্তভাবে কমে গেছে। ভয়ঙ্কর এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী বিজেপির উদারবাদী নীতির প্রতিবাদে সিপিআই (এম) দল সড়কে নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রতন দাস বলেন, এ রাজ্যের বেহাল অবস্থা। গত চার বছরে রাজ্যের অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে। সারা রাজ্যে সন্ত্রাস কায়েম করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে জনগণের কাছ থেকে। এর ওপর দ্রব্যমূল্য বাড়া মানুষের জীবনকে নাজেহাল করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।