ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় ১৫ বাংলাদেশি নাবিকদের আটকে রাখা হয়নি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
কলকাতায় ১৫ বাংলাদেশি নাবিকদের আটকে রাখা হয়নি

কলকাতা: এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের কলকাতায় আটকে আছেন বাংলাদেশি জাহাজ মেরিন ট্রাস্ট জিরো ওয়ানের ১৫ নাবিক। এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

নাবিকদের অভিযোগ তাদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি তাদের প্রতিষ্ঠান। এসময় পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তারা।

কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, জাহাজের ১৫ জন সদস্য একমাস ধরে কলকাতার মেরিন ক্লাবে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ জচালিয়ে যাচ্ছে মিশন কর্তৃপক্ষ।

তবে ওই ১৫ নাবিককে আটকে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে মিশন কর্তৃপক্ষ।  

একটি সূত্রে জানা যায়, জাহাজ কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতার এজেন্টের সমস্যাগত কারণে নাবিকদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তাদের কি করা উচিত। এরইমধ্যে একমাস হয়ে যাওয়া এবং সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে নাবিকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা জোর করে আটকে রাখার মত কোনও ঘটনা ঘটেনি হয়নি।

কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা জানায়, তাদের সঙ্গে নাবিকদের যোগাযোগ চলছে। নাবিকেরা জানিয়েছেন- সেখানে থাকতে বা খেতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে না। তবে ঈদ এসে যাওয়ায় যত তাড়াতাড়ি দেশে ফেরা যায় সেই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তারা। তাই বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ মিশন থেকে জানানো হয়, নাবিকদের সেখানে খাওয়া-দাওয়ার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে তারে রুমে এসি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ কলকাতা পোর্টে (বর্তমান নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর) একটি বাংলাদেশি কনটেইনার জাহাজ ‘এমভি মেরিন ট্রাস্ট-০১’ পণ্য বোঝাইয়ের সময় ডুবে যায়। আর প্রাণ বাঁচে ১৫ জন বাংলাদেশি নাবিক। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জাহাজের কর্মীদের অপরিকল্পিতভাবে কার্গো লোড করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে জাহাজটি ডুবে আছে। এখনও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে সেই থেকে কলকাতায় এক মাসের ওপর অবস্থান করছেন নাবিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ভিএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।