চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হেনস্তা এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
চবিসাসের নেতারা বলেন, আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আইদিদ আলমের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন মিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
জানা গেছে, চুয়েটে মাদকসেবন বেড়েছে। নিজেদের রুমে মাদকসেবনের পাশাপাশি জনসম্মুখে মাদকসেবন এখন সাধারণ দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.গোলাম রব্বানী মাদকসেবনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখেন। তার লেখায় ক্ষুব্ধ হয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আইদিদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জনের একটি দল পরদিন বুধবার দুপুরে সমিতির সভাপতি জিওন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে ডেকে নেন। তাদের চার ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রেখে গালাগালি ও হেনস্তা করে ছাত্রলীগ। পরে গোলাম রাব্বানিকে ডেকে নিয়ে মো. আইদিদ আলম, মো. ইমরান হাসান মুরাদ ও শেখ নাহিয়ান এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
চবিসাস নেতারা মনে করেন, বাক স্বাধীনতার পাশাপাশি মুক্ত গণমাধ্যমকেও কলুষিত করে এসব কর্মকাণ্ড।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
এমএ/টিসি