চট্টগ্রাম: শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেকে গেছে ধান।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, রাঙ্গুনিয়ায় আমন আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। ধান কাটতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কিনতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই মেশিনে এক কানি জমির ধান কাটতে ব্যয় হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। যেখানে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, গুমাই বিলে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। আগামি সপ্তাহের দিকে পুরোদমে ধান কাটা হবে। এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি, ধানের উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
দেখা গেছে, গুমাই বিলের চারদিকে পাকা ধানের সমারোহ। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউবা ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত। মাঠে কৃষকের পাশাপাশি ব্যস্ত কৃষাণীরাও। সাগর মিয়া নামে এক চাষি বলেন, এবার ৭ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করেছেন। ধান পেকেছে, এখন কেটে ঘরে তোলার কাজ চলছে।
কৃষক সেকান্দর মিয়া বলেন, বাজারে হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি কেজি ২৭ টাকা এবং সাদা পাঞ্জা ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। এই দাম কমলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। জামান নামের এক চাষি বলেন, ধান কাটার জন্য শ্রমিকরা বেশি মজুরি চায়। প্রতি কানি (২০ গন্ডা) জমির ধান কাটতে দিতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
ধান কাটার এ মৌসুমে নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, রংপুর, সাতকানিয়া, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের শ্রমিকেরা এখানে আসেন। দৈনিক দুইবেলা খাবার এবং সাড়ে তিন শ থেকে চার শ টাকা মজুরিতে গুমাই বিলে ধান কাটেন তারা। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চলে ধান কাটার উৎসব।
সকালের খাবার খাওয়ার সময় কাঁধে করে বাড়ির উঠানে বয়ে আনা হয় সেই ধান। সেখানে চলে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এরপর সোনালী ধানে ভরে ওঠে কৃষকের গোলা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এসি/টিসি