ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্গোৎসবের হীরক জয়ন্তী দক্ষিণ নালাপাড়ায়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২২
দুর্গোৎসবের হীরক জয়ন্তী দক্ষিণ নালাপাড়ায়

চট্টগ্রাম: সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে হীরক জয়ন্তী পালন করছে দক্ষিণ নালাপাড়া দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদ। এবার পূজার থিমের নাম দেওয়া হয়েছে পার্বণ।

আদিবাসীদের জীবনধারা ও কর্মযজ্ঞ তুলে ধরা হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে। বাঁশ ও বেড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো মণ্ডপ।
মণ্ডপে প্রায় ১৪ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দৃষ্টিনন্দন এই পূজামণ্ডপ দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।  

শনিবার (১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠীর দিন বিকেল ৫টায় নালাপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদ সভাপতি লায়ন অসিত সেন ও সাধারণ সম্পাদক রানা বিশ্বাসের নেতৃত্বে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। ব্যানার, প্লেকার্ড, ঢাক-ঢোলসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বের হওয়া র‌্যালিটি দক্ষিণ নালাপাড়া থেকে বের হয়ে সদরঘাট, নিউমার্কেটসহ নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক করে পুনরায় দক্ষিণ নালাপাড়া এসে শেষ হয়।  

এরপর সন্ধ্যা ৬টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। এসময় তিনি ৭৫টি মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের  উদ্বোধন করেন।

 উপস্থিত ছিলেন পূজা পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সজল চৌধুরী, রঞ্জন সাহা, সৌমেন দে ও সোহেন দে।  

থিম পরিকল্পনাকারী রাজিব বিশ্বাস রাজা বলেন, এবার পূজার থিমের নাম হচ্ছে পার্বণ। আদিবাসীদের জীবনধারা ও কর্মযজ্ঞ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এখানে।  বাঁশ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজা মণ্ডপকে। মণ্ডপে প্রায় ১৪ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ভাবনা ও সৃজনে রয়েছেন বিশ্বজিৎ আইচ। পাঁচ মাস আগে থেকে আমরা এই কাজ শুরু করেছিলাম। দিন-রাত কাজ চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি দর্শনার্থীদেরও কাছে আমাদের এই আয়োজন দৃষ্টিনন্দন হবে।  

পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন অসিত সেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ নালাপাড়ায় পূজা আয়োজনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজন রয়েছে। এর আগে আমরা ৫০ বছর পূর্তি উৎসবও করেছিলাম। প্রতিবছর এই পূজামণ্ডপে নতুনত্ব কিছু তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশাকরি দর্শনার্থীরা এবারের আয়োজন মনোমুগ্ধ হবে। আমি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।