ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপি মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে: নাছির 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
বিএনপি মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে: নাছির  বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: বিএনপি ঢালাওভাবে মিথ্যাচার করে চলেছে এমনকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন হবে সাংবিধানিক উপায়ে সেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

আমরা চাইবো সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। কিন্তু কাউকে জোর করে নির্বাচনে টেনে আনা সম্ভব নয়। কেউ আসুক না আসুক বড় কথা নয়, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে তাতে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বাংলাদেশেও সাধারণ মানুষও কষ্ট পাচ্ছে। তবে এই সংকট সাময়িক। মানুষের এই দুঃখ কষ্ট লাঘবে আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং প্রত্যেকের সঙ্গে সুখ দুঃখের ভাগিদার হতে হবে। এভাবেই দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ানো সম্ভব।  

দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব সংগঠন ও কথিত সুশীল সমাজ কথায় কথায় বাংলাদেশে মানবাধিকার গেল বলে মায়াকান্না করেন। তারা কি জানেন না ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তাণ্ডব ও বর্বরতার কথা? সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কী অবস্থা করেছিলো তারা? ঘরবাড়ি জ্বালানো, হত্যা, ধর্ষণ, লুট, সন্ত্রাসের জাহান্নামে মানবাধিকার ও মানবতা বলতে কিছুই ছিল না। বরিশাল ও ভোলা থেকে ২৫ হাজার মানুষ টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অতীতে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। তারা যদি আবার একই পথ বেছে নেয় আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আঘাত হানবে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পুনবার্সন করেছে। কুখ্যাত শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত রাজাকার আবদুল হালিমকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দায় মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের দূতাবাসে বড় বড় পদে বসিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। একই পথে চলেছেন এরশাদ ও খালেদা জিয়া। এরা স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশ আবার পাকিস্তান হবে। এরা দেশপ্রেম বিবর্জিত ঘৃণ্য অপশক্তি। এরা বিষধর সর্প, যখন-তখন ফণা তুলে ছোবল দিতে পারে। তাই আগে-ভাগে এদের বিনাশ করতে হবে এবং এই কাজটিই দেশপ্রেমিক শক্তিকে করতেই হবে।  

চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল হক রঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, জোবাইরা নার্গিস খান, শহীদুল আলম, জাফর আলম চৌধুরী ও চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।