ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়-নদী রক্ষায় পরিবেশ ফোরামের ৭ দফা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
পাহাড়-নদী রক্ষায় পরিবেশ ফোরামের ৭ দফা  ...

চট্টগ্রাম: জঙ্গল সলিমপুরসহ চট্টগ্রামের সকল পাহাড় সংরক্ষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার জন্য ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম।  

শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো- হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে গড়ে তোলা সকল অবৈধ বসতি দ্রুত উচ্ছেদ করা, সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ভূমিহীনদের যেভাবে জমিসহ ঘর উপহার দিচ্ছেন সেই নিয়মে চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করা প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘরসহ পুনর্বাসন করা।

উদ্ধার করা বিশাল পাহাড়ি ভূমির কোন অংশে কিংবা সরকারি জমিতে কক্সবাজারের খুরুশকুলের আদলে বহুতল ভবন তৈরি করে প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা।

এসব বহুতল ভবনের সীমানায় থাকতে হবে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক প্রদত্ত উচ্ছেদ নোটিশ অনুযায়ী দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা। চট্টগ্রাম শহরের শত শত টন বর্জ্য ও পলিথিন কর্ণফুলী নদীতে পড়তে না পারে সে বিষয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা মাছ রক্ষা, দুষণ রোধ এবং বিপন্ন প্রজাতির ডলফিল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

আর এস সীট অনুসারে চট্টগ্রাম শহরের ৭২টি খাল চিহ্নিত করে বিলুপ্ত এবং দখল করা সকল খাল উদ্ধার করা।

পাহাড় হচ্ছে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটির মতো। যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিহত করার পাশাপাশি মানুষ এবং জীব বৈচিত্র্যের সুপেয় পানির আধার। ক্রমাগত পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেলে চট্টগ্রাম নগরী মরুভূমিতে পরিণত হবে। ক্রমবর্ধমান ইট কংক্রিটের সৃষ্ট উত্তাপ পরিশোধন করার বিকল্প না থাকায় নগরীর তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। পাহাড় কেটে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন করে মানুষ যতটুকু আর্থিক লাভবান হচ্ছে বাস্তবে প্রাকৃতিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। চট্টগ্রামে বর্তমানে টিকে থাকা পাহাড়গুলো রক্ষায় জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিডিএ, সিটি করপোরেশন এক হয়ে ২০০৭ সালে শক্তিশালী পাহাড় রক্ষা কমিটি প্রদত্ত সুপারিশ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।  

এসময় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।