ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলানিউজে সংবাদ

কনডেম সেলে থাকা কাশেম সাধারণ বন্দি ওয়ার্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
কনডেম সেলে থাকা কাশেম সাধারণ বন্দি ওয়ার্ডে ...

চট্টগ্রাম: লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে।

কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছার কারণে ৭ বছর ধরে কনডেম সেলে ছিলেন আবুল কাশেম।

অবশেষে ৭ বছর পর সেই আবুল কাশেমের খালাসের আদেশের কপি বুধবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে তাকে সেখান থেকে সাধারণ বন্দী ওয়ার্ডে রাখা হয়।

তার বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন থাকায় তাকে সেখানে রাখা হয়েছে বলে কারাগার সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান তরিকুল ইসলাম জানান, আবুল কাশেমের কনডেম সেল থেকে মুক্তির বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের কপি আজ বুধবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। আবুল কাশেমের আরও একটি মামলা রয়েছে যার কারণে কনডেম সেল থেকে তাকে সাধারণ কয়েদির সঙ্গে রাখা হয়েছে।  
এর আগে গত বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর! এই শিরোনামে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত লিখিত আবেদন করতে বলেন। পরে একই দিন মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটির বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।  

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলা থেকে খালাসের পরও ৭ বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারীর আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। গত রোববার (৭ আগস্ট)  আবুল কাশেমের আইনজীবী সেলিম উল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন ,বিষয়টি ক্লিয়ার করে মহামান্য হাইকোর্টের প্রদত্ত সম্পূরক আদেশের কপির খোঁজ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা পুরো বিষয়টি বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য একটি বিচারিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।