ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের যাত্রা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের যাত্রা শুরু ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: রেলের ইতিহাসে প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর যাত্রা শুরু করেছে। এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

একটি মিটারগেজ ও একটি ব্রডগেজ কোচ নিয়ে তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। দুটি কোচের একটি থাকবে দেশের পূর্বাঞ্চলে অন্যটি থাকবে পশ্চিমাঞ্চলের রেলস্টেশনে।

সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ৯ নম্বর প্লাটফর্মে জাদুঘরের বগিটি রাখা হয়। জাতির পিতার বেড়ে ওঠা ও কর্মময় জীবনের ঘটনাগুলো নিয়ে ধারাবাহিক ১২টি পর্বে নির্মাণ করা হয়েছে জাদুঘরটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ইতিহাসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এ জাদুঘর।  

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে জাদুঘরটি পাঁচ দিন থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা এটি দেখতে পারবে। এ জাদুঘর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্টেশনে থাকবে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে একটি জাদুঘর থাকবে ১ থেকে ৫ আগস্ট, ভাটিয়ারী স্টেশনে থাকবে ৫ থেকে ৭ আগস্ট, সীতাকুণ্ড স্টেশনে থাকবে ৭ থেকে ৯ আগস্ট, চিনকি আস্তানা স্টেশনে থাকবে ৯ থেকে ১১ আগস্ট, ফেনী জংশনে থাকবে ১১ থেকে ১৫ আগস্ট, গুনবতী স্টেশনে থাকবে ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট, নাঙ্গলকোর্ট স্টেশনে থাকবে ১৬ থেকে ১৯ আগস্ট, লাকসাম জংশনে থাকবে ১৮ থেকে ২৩ আগস্ট, চৌমুহনী স্টেশনে থাকবে ২৪ থেকে ২৫ আগস্ট, মাইজদীকোর্ট স্টেশনে থাকবে ২৬ থেকে ২৭ আগস্ট, নোয়াখালী স্টেশনে থাকবে ২৮ থেকে ২৯ আগস্ট, চাঁদপুর স্টেশনে থাকবে ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, কুমিল্লা স্টেশনে থাকবে ২ থেকে ৪ নভেম্বর, আখাউড়া স্টেশনে থাকবে ৫ থেকে ৮ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে থাকবে ৯ থেকে ১০ নভেম্বর, ভৈরব স্টেশনে থাকবে ১১ থেকে ১২ নভেম্বর, নরসিংদী স্টেশনে থাকবে ১৩ থেকে ১৪ নভেম্বর, টঙ্গী জংশনে থাকবে ১৫ থেকে ১৬ নভেম্বর এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থাকবে ১৭ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

জাদুঘরটি ঘুরে দেখা যায়, জাদুঘরটিতে প্রবেশ করতে দেখা মিলবে জাতির পিতার শৈশবের দিনগুলো।  তাঁর ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠা, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে গণমানুষের প্রাণের নেতা হয়ে ওঠা, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তার অবদান, অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবর্ণনীয় নির্যাতন ভোগ, মিথ্যা মামলা ও কারাভোগের করুণ চিত্র, তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম, বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, ৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা, ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, জাতির গৌরবোজ্জ্বল ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন।

কোচের এক প্রান্তে একটি বড় টিভিতে জাতির পিতার সাতই মার্চের ভাষণ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভাষণসমূহ এবং থিম সংসহ বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত অন্যান্য গান প্রচার করা হচ্ছে।

জাদুঘরটিতে ১২টি টেবিলে স্থাপন করা হয়েছে জাতির পিতার পৈতৃক নিবাসের প্রতিরূপ, তার ব্যবহৃত চশমা, পাইপ, মুজিব কোট, টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থলসহ ১৩টি ঐতিহাসিক অনুকৃতি।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গৌরবের প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ মুক্তি সংগ্রামের দুর্লভ চিত্রসমূহ। জাদুঘরে আছে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা পত্র। যা জাতির পিতাকে আরও গভীরভাবে অনুধাবনে সহায়ক হবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর রেলের ইতিহাসে প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। চট্টগ্রামে উদ্বোধন হওয়া একটি মিটারগেজ কোচকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে। জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।