চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, মানুষ বিএনপির অপপ্রচার বিশ্বাস করে না। রাজপথে সংগ্রাম করে জনতার ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরের দিকে নগরের কিং অব চিটাগাং প্রাঙ্গণে আয়োজিত মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে যে উন্নয়ন, তা এমনিতে হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন করা হয়, তখন এদেশে মাথাপিছু আয় কত ছিল তা দেখুন। এখন তা ২ হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করা হয়, তখন কী ছিল? আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি। মানুষ আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিয়েছে। পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। এরপরও মানুষ আওয়ামী লীগকে চায়।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দুইটি খাতের ওপর নির্ভর করে। সেগুলো হলো- কৃষি ও পর্যটন। করোনায় তাদের ব্যবসায় ধস নামে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি নির্ভর করে কয়েকটি খাতের ওপর। এরমধ্যে তৈরি পোশাক খাতের অবদান অনেক। তাই আওয়ামী লীগ সরকার পোশাক খাত টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আমাদের রিজার্ভ এখনো পর্যাপ্ত আছে। এসব আমাদের দেশের সব জনগণ জানে, বোঝে। তাই বিএনপি যে অপপ্রচার করছে, তা মানুষ বিশ্বাস করে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন,
নেতাদের মধ্যে যদি ঐক্যের সৃষ্টি না হয় তাহলে কর্মীদের মাঝে ঐক্য আসার কোনো সুযোগ নেই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ঐক্য না থাকলে বিএনপি জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য দেখা যায় না। যদি নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতো তাহলে বিএনপি জামায়াত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই বাংলায় যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল সেদিন যদি চট্টগ্রামের নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকতেন তাহলে তাদের প্রতিরোধ করতে এই নেতৃত্বই যথেষ্ট ছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত চট্টগ্রামের মাটিতে মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের হাত পা কেটে দিয়েছিল। চোখ উপড়ে ফেলেছিল। পঙ্গু করে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য কেড়ে নিয়েছিল। এমনকি গোয়ালের গরু থেকে শুরু করে পুকুরের মাছ, গাছপালা কেটে পরিষ্কার করে ফেলেছিল।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিখিল বলেন, নওফেল ভাই নাছির ভাই ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। আমি কষ্ট পাই, আমার চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দ কষ্ট পাই কী কারণে জানেন?
প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আমরা কি শেখ হাসিনার সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেছি? তাহলে নাছির ভাই, নওফেল ভাই কার আদর্শ ধারণ করেছে?
যদি উনারা শেখ হাসিনার সৈনিক হন, তাহলে উনাদের নাম বললেই আলাদা আলাদাভাবে স্লোগান হয় কেন? কীসের ঐক্যের ডাক? এটা ঐক্যের ডাক হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
বিই/টিসি