ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে বিএনপি: আ জ ম নাছির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
দেশে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে বিএনপি:  আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোট এদেশের জনগণ এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতিপক্ষ। এরাই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।

এরাই দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে।  

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার পুত্র এবং পলাতক আসামী তারেক রহমান লন্ডনে বসে অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে। অথচ যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়ার কোনো বৈধ আয়-রুজি নেই। এই বিলাসিতা সম্ভব হয়েছে তারেক জিয়া দেশের একজন শীর্ষ অর্থ পাচারকারী হিসেবে সেখানে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে। অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হলে দেশ আপদমুক্ত হবে।  

সাবেক এ সিটি মেয়র বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লুন্ঠিত মূল্যবোধ ও চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাত ও ভোটের অধিকার। জনগণ মুক্তি পেয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের দুঃশাসন থেকে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল, তাদের হাত থেকে দেশ রাহু মুক্ত হয়েছে।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যে অপশক্তিটি মাথাচারা দিয়ে উঠেছে এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল হচ্ছে বিএনপি নামক তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠন। এই দলটির জন্ম হয়েছে হত্যা ও সামরিক উর্দ্দি পড়ে অসাংবিধানিকভাবে।
তাই এই দলটির মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর করলেও এখনো পর্যন্ত যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসিত করেছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। তাই এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী,  খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ।  

সমাবেশ শেষে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে বক্সিরহাট, লালদিঘী, কোতোয়ালী মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জিপিও, নিউ মার্কেট মোড় হয়ে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।